নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিনাইরচর গ্রামের আব্দুর রহমান মিয়া (৭৫) একটি দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে দশ বছর আগে পা দুইটি প্যারালাইজড হয়ে যায় । তারপর থেকে চেয়ারের হাতলের উপর ভর করে অনেক কষ্ট করে বাড়িতে চলাফেরা করেন। একটি হুইল চেয়ার তার খুব দরকার ছিল। সোমবার বিকেলে তাকে ডেকে একটি হুইল চেয়ার দিয়েছে মিথিলা গ্রুপের পরিচালক মাহবুব খান হিমেল। এটি পেয়ে তিনি খুবই খুশি।
লক্ষ্মীপুরা গ্রামের নাসিরউদ্দিন মিয়ার ছেলে আসিফ মিয়ার বয়স এখন ষোল। থ্যালাসিমায় আক্রান্ত হওয়ায় নয় বছর পর থেকে প্যরালাইসেস হয়ে ঘর বন্দি হয়ে যায়। তাকেও দেয়া হলো একটি হুইল চেয়ার।
বাজবী গ্রামের সরাফত আলীর মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী। হাঁটতে পারেন না। সরাফত আলী জানান, অনেক কষ্টে করেই চলে তার সংসার। একটি হুইল পাওয়ায় তার অনেক উপকার হয়েছে। বিনাইরচর গ্রামের আমজাত হোসেনের স্ত্রী শাহীনুর আক্তার দুরারোগ্যব্যধীতে আক্রান্ত হয়ে গত তিন বছর ধরে প্যর দেয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মানিক মিয়ার মেয়ে ফাহমিদা আক্তার ও একই এলাকার শুভকেও হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়। এছাড়াও রূপগঞ্জের গাউছিয়া সম্প্রতি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজনকে নগদ টাকা প্রদান করা হয়।
মিথিলা গ্রুপের পরিচালক মাহবুব খান হিমেল বলেন, ‘প্রতিবন্ধী নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। ওদেরকে বোঝা মনে না করে আদর যতœ ভালবাসা দিতে হবে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাঁচবো বাঁচাবো সমাজসেবা সংগঠনের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী, আলোর পথযাত্রী পাঠাগারের সভাপতি সফুরউদ্দিন প্রভাত, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত ভূইয়া প্রমুখ।