ছাগলকাণ্ডের বিতর্কিত ও সাময়িক বরখাস্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী। গণমাধ্যমে যখন আলোচনায় তিনিও, তখন ‘বড় বড় সাংবাদিকদের কিনে এসেছি, সব থেমে যাবে’ বক্তব্যেও ওঠে ঝড়। এরই মধ্যে শুক্রবার (১২ জুলাই) লাকীর দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ওই বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি রায়পুরা-নরসিংদীসহ বাংলাদেশে কোথাও কোনো দুর্নীতি করিনি। যদি দুর্নীতি করে থাকি, আইন আছে। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। তার মাধ্যমে বিচার হবে। আমি সব বিচার মাথা পেতে নেব।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের বাঙালিনগর মাঠে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। গণঅভ্যুত্থানের নেত্রী ছিলাম। আমি সরকারি চাকরি করেছি। কোনো অন্যায় করিনি। আমি আমার পথে এগিয়েছি। বর্তমানে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে আছি। এর আগে মহিলা আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য পদে ছিলাম। হুট করে এখানে (রায়পুরা) এসে রাজনীতি করিনি।
লায়লা কানিজ লাকী বলেন, কোনো কিছুর বিনিময় বা কারো কাছে ভিক্ষা চেয়ে জেলা আওয়ামী লীগে পদ পাইনি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আবারো প্রার্থী হব। আপনারা পাশে থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র ঠেকাতে পারবে না। আপনারা সুযোগ দিলে নির্বাচিত হয়ে সেবা করে যাব।
জানা যায়, ২০২২ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজের সহযোগী অধ্যাপকের চাকরি ছেড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতে যোগ দেন লায়লা কানিক লাকী। বর্তমানে তিনি নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক। গত বছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাদেক। পরে ওই শূন্যপদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লায়লা কানিক লাকী।
এদিকে তার স্বামী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অপসারিত সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তানের ছাগলকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তারপর স্বামীর পাশাপাশি লাকীর বিপুল সম্পত্তি নিয়ে গণ্যমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে স্বামী-সন্তানসহ তার দেশত্যাগে বাঁধাসহ সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নিদের্শ দেন আদালত।