নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ এলাকায় নারী-কিশোরসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে নিহতদের স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১টায় রায়পুরা থানা গেটের সামনে ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নিহত আমির হোসেনের ছেলে আজগর হোসেন বলেন, ‘জেলা কারাগারের লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র পলাতক আসামিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন আবু হানিফ জাকারিয়া ও নজরুল ইসলাম। সেই অস্ত্র দিয়েই আমার বাবা, চাচা বাদল মিয়াসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ঘটনার দুই দিন পর দুটি হত্যা মামলা করি। সাত দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ প্রধান আসামি আবু হানিফ জাকারারিয়াসহ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।’
এ সময় আরো বক্তব্য দেন হত্যা মামলার বাদী ইকবাল মিয়া, নরসিংদী টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থী রাকিব হাসান ও সাজিদ মিয়া।
শিক্ষার্থী সাজিদ বলেন, ‘সায়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোস্তাকিম জুনায়েদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
আমরা বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
নিহত আমির ও বাদলের ভাই ইকবাল মিয়া বলেন, ‘আসামিপক্ষের লোকজন প্রাণনাশের হুমকিসহ বাড়িতে ভাঙচুর ও লুট করছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ বিচারের দাবি জানাই।’
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২২ আগস্ট উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ এলাকায় সাবেক ইউপি মেম্বার ফিরোজ মিয়া ও আবু হানিফ জাকারিয়ার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ফিরোজ অনুসারী ছয়জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়। নিহতরা হলো সায়দাবাদ এলাকার ইসমাঈল হোসেন ব্যাপারীর দুই ছেলে আমির হোসেন (৭০) ও বাদল মিয়া (৪০), আব্বাস আলীর ছেলে আনিছ মিয়া (২৫), শাহীন মিয়ার ছেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোস্তাকিম জুনায়েদ, আশাবুদ্দিনের ছেলে সিদ্দিক মিয়া (২৫) এবং একই ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি এলাকার শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৩৫)। নিহত সবাই ফিরোজ মিয়ার সমর্থক ছিল। এ ঘটনার দুই দিন পর ২৬ আগস্ট দুটি হত্যা মামলা করা হয়। এতে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক আব্দুল হালিম বলেন, আসামিদের ধরতে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।