বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমির মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেছেন, বিগত সময়ে ২০০৬ ও ৭ সালে বাংলাদেশে ইতিহাসে অত্যন্ত নারকিয় ঘটনা ঘটেছিলো, লগি বৈইঠা দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতকর্মী সহ মানুষদের পিঠিয়ে মেরে দেশকে বিপর্যয়ে ফেলেছিল শেখ হাসিনার দল। শুধু তাই নয় স্বৈরশাসকের তকমা নিয়ে জামায়াতকে যেকে বসেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তারা জেলায় জেলায় বৃহৎ কারাগারে রূপান্তরিত করেছিল, দেশ একটি ঘৃণ্য রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করে, আমাদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল, আমাদের নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল। আজ তারাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ছাত্রলীগ ছিল আওয়ামী লীগের সহযোগী লগি বৈঠার সংগঠন মাত্র তিন মাসেই ছাত্রলীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছে। আজ ১৬ বছর পর আমরা মুক্তমনে কথা বলতে পারছি।
রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে নরসিংদীতে মাধবদী শহর ও থানা শাখা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত, আহতদের সুস্থতা কমানা এবং ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর পল্টন হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবীতে অনুষ্ঠিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাধবদী পৌর শহরে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা-৭১ মঞ্চে আয়োজিত এসভায় সভাপত্বি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মাধবদী থানা শাখার আমীর আব্দুল জব্বার। এসময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নরসিংদী জেলা শাখার আমির মাওলানা মোছলেহুদ্দীন ও সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক মকবুল হোসেন, নরসিংদী জেলা কর্ম পরিষদের সদস্য আব্দুল লতিফ খান, অধ্যাপক অলিউল্লাহ সরকার, নরসিংদী সদর থানা আমীর মোঃ মাহফুজ ভূইয়া, নরসিংদী শহর শাখার আমীর আজিজুর রহমা, মাধবদী শহর শাখার আমীর মাওলানা আমিনুল হক, মাধবদী থানা শাখার সেক্রেটারী আব্দুল আজিজ, সহকারী সেক্রেটারী মোঃ জাফর উল্লাহ খান, মাধবদী শহর শাখার সেক্রেটারী মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া, সহকারী সেক্রেটারী মোঃ নজরুল ইসলাম, মাধবদী শহর শাখার বায়তুল মাল সম্পাদক মাধবদী ইসলামী ছাত্র শিবিরের উত্তর শাখার সভাপতি তাজুল ইসলাম ও দক্ষিণের সভাপতি শামীম আহমদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ আশিকুর রহমান বাব্বির বাবা আব্দুল খালেক সহ অন্যান্যরা।