নরসিংদীর সদর উপজেলার মাধবদীতে মাদক বিক্রির আস্তানা পরিষ্কার করায় এলাকাবাসীর উপর হামলা চালিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ সময় হিন্দু পরিবারসহ এলাকায় বিভিন্ন ঘর থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মালামাল লুটপাট, অটোরিকশা ভাঙচুর করে তাণ্ডব চালিয়েছে তারা।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার কাঠালিয়া ইউনিয়নের চৌঘরিয়া গ্রামের রজনী চন্দ্র দত্তের ছেলে সুব্রত চন্দ্র দত্ত (৩১), তাদের বাড়ির পাশে হামিদুল্লাহ মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. মাহফুজ (৪০), মো. জনি (৩৫), আবু কালাম মোল্লা (৫৫), মো. আল আমিন (২৮), গৃহবধূ শিরিনা আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূসহ প্রায় ৬ জন।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. রোমান ও তার সহযোগী মাদক ব্যবসায়ীসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আরও ৪০/৪৫ জনের বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী সুব্রত চন্দ্র দত্ত।
ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ীদের আস্তানা পরিষ্কার করায় প্রথমে কাঠালিয়া ইউনিয়েনর চৌঘরিয়া গ্রামের রজনী চন্দ্র দত্তের ছেলে সুব্রত চন্দ্র দত্তের উপর হামলা চালায়। পরে তাদের বাড়িতে হামলা করে ঘর থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা নিয়ে চলে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। পরে এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে দ্বিতীয় দফায় মাদক ব্যবসায়ীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মো. দ্বীন ইসলামের বাড়িসহ একাধিক বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় দ্বীন ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দিলে শিরিনা আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে এবং মো. আল আমিন (২৮) নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এছাড়া মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন আবু কালাম মোল্লাসহ আরও অনেকে।
চৌঘরিয়া গ্রামের রজনী চন্দ্র দত্ত জানান, নরসিংদীর সীমান্তবর্তী চৌঘরিয়া এলাকায় আড়াইহাজার পৌরসভার বাসিন্দা তাজুল ইসলামের ছেলে ও ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রোমানের নেতৃত্বে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা এই তাণ্ডব চালায়। তার ছেলেকে অনেক মারধর করা হয়েছে। এছাড়াও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায় তারা।
আবু ছিদ্দিকের স্ত্রী আহত শিরিনা আক্তার জানান, শনিবার বিকেলে হঠাৎ অনেক লোক দৌড়াদৌড়ি করছিল। আমাদের বাড়িতে পুরুষ মানুষ কেউ ছিলো না। এ সুযোগে হামলাকারীরা বাড়িতে ঢুকে তাকে মারধর করে স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।
মাধবদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্দ) গোবিন্দ সরকার বলেন, কাঠালিয়া ইউনিয়নের চৌঘরিয়া গ্রামের মারধরের ঘটনায় আমরা অবগত আছি। তারা ৯৯৯ নম্বরে কল করে সেবা চেয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।