নরসিংদীর রায়পুরায় জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে টেঁটা যুদ্ধ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মনসুর আলীর বাড়ি ও সাবুদ আলীর বাড়ির লোকজন এ সংঘর্ষে জড়ায়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
মনসুর আলীর বাড়ির পক্ষের আহতরা হলেন- কালিকাপুরের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মকবুল হোসেন (২৫), মৃত সাদত আলীর ছেলে আশরাফ আলী (৪৫), মৃত মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৫) ও ছায়দুল ইসলাম (২৫) এবং শুক্কুর আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম (৬০), বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী সখিনা বেগম (৫০)।
সাবুদ আলীর বাড়ির পক্ষের আহতরা হলেন- মস্তু মিয়ার ছেলে মোখলেস (৫০), আলী আজমের ছেলে নাজীর মিয়া (৪৫), মৃত কালু মিয়ার ছেলে লাক মিয়া (৪২)।
আহতদের মধ্যে মকবুল মিয়া চোখের ওপরে ককটেল বিস্ফোরণে আঘাত পেয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া অন্যান্যরা রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রাথমিকভাবে সবার নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে নজীর মিয়া একই এলাকার হাসান মিয়ার ছেলে মনু মিয়ার কাছ থেকে একটি জমি ক্রয় করেন। একই জমি অন্য আরেকজনকে কিনে দিতে চেয়েছিলেন নান্নু মিয়া মেম্বার। নান্নু মেম্বার ও নজীর মিয়া একই বাড়ির। নান্নু মিয়ার পক্ষে জড়িত হন হুমায়ুন কবির বরকত আলী। হুমায়ুন কবির বরকত আলী সাবুত আলী বাড়ির নেতৃত্ব দেন। তিনি চাঁনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
এ বিষয়ে নজীর মিয়া বলেন, আমি একটা জমি কিনেছি। সেটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গতকাল এটা নিয়ে মীমাংসায় বসলে বিরোধে জড়িয়ে আমার একজন লোককে পিটিয়ে আহত করে। এরই জেরে পুনরায় আজ ভোরে তারা নান্নু মিয়া মেম্বার ও বরকত আলীর নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা করে। এতে নারী পুরুষসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে নান্নু মিয়ার মুঠোফোনে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
একই বিষয়ে সাবুত আলী বংশের বরকত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে মনসুর আলীর বাড়ির লোকেরা ঝগড়ায় জড়ায়। এখানে আমার সম্পৃক্ততা নেই। আমি এ ঘটনায় জড়িত না। গেল পরশু রাতে তারা মীমাংসায় বসে বিরোধে জড়ায়। এরই জেরেই আজ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রায়পুরা থানার ওসি আব্দুল জব্বার বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে শুনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।