ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন- সোমবার , ২৬ আগস্ট ২০১৯:
‘আমার বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বহু বছরের পুুরোনো গাছগুলোও কেটে ফেলেছে। ওই বাড়িটির ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকা মর্ডাণ এক্সরে এন্ড প্যাথলজি ক্লিনিকের প্রায় কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়েছে ‘তারা’ -এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও পাঁচ বারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হারুণ অর রশিদ।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তিনি বলেন, সকলের কাছে আমি একজন সাধারণ হারুণ ভাই হিসেবে ছিলাম এবং এখনো আছি। তাই আমার কারো উপর কোনো অভিযোগ নেই। যারা গভীর রাত্রে এই ভাংচুরের করিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শুধু আল্লাহ’র কাছে বিচার দিয়েছি এবং আশা করি আইনানুগভাবে এর সুষ্ঠু বিচার হবে।

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক জীবনে আমি ২২ বছর ক্ষমতার রাজনীতি করেছি। রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান, হুইপ, চিফ হুইপ, প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারের নানান গুরুত্বপূর্ণ অধিষ্ঠিত ছিলাম। কিন্তু আমি কখনো আমার ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাত সোয়া দুইটা থেকে ভোররাত ৭টা পর্যন্ত দুর্বৃত্তরা সদর হাসপাতাল রোডের রাস্তার পশ্চিমপাশের বিএনপি নেতা
আলহাজ্ব হারুন-আল-রশীদের মালিকানাধীন ভবনে থাকা ‘মডার্ণ এক্সরে এন্ড প্যাথলজি ক্লিনিকের বিদ্যুৎ ও সিসিটিভির ক্যামেরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বুলডোজার দিয়ে ক্লিনিকের লোহার ফটক, ভবনের দেয়াল, সীমানা প্রাচীর, ভেতরের গোডাউন ভাঙচুর করে। পরে তারা ক্লিনিকের ভেতরে থাকা প্রাচীন তিনটি গাছ ইলেকট্রিক করাত দিয়ে কেটে ফেলে, তিনটি জেনারেটর, তিনটি আলট্রাসনোগ্রাফ মেশিন, চারটি এসিসহ ৮০ লাখ টাকার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ট্রাকে তুলে লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন বুধবার রাতে ‘মডার্ণ এক্স-রে ও প্যাথলজি ক্লিনিক’ এর মালিক জসিম উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে
আসামি করে একটি মামলা করেন।

একই রাতে বিএনপির নেতা হারুণ আল রশীদের চাচাতো ভাই শামীম রশিদ বাদী হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে মডার্ণ এক্সরে এন্ড প্যাথলজি ক্লিনিকের পশ্চিমপাশের জায়গায় প্রস্তাবিত ডাঃ জাকারিয়া মা ও শিশু জেনারেল হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ মোঃ জাকারিয়া, শহর যুবলীগের আহবায়ক আমজাদ হোসেন রনি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম তৌছির, পৌর এলাকার শেরপুরের বাছির ওরফে ধোপা বাছির, পৌর এলাকার দাড়িয়াপুর গ্রামের মিজান ওরফে জামাই মিজান, শহরতলীর নাটাই গ্রামের আবু কাউসার এবং পৌর এলাকার
উত্তর পৈরতলা গ্রামের মোঃ মিজান মিয়ার নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনকে আসামি করে অপর একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে।