নরসিংদী প্রতিদিন: জারের অর্ধ কিলোমিটার দূর থেকে গরু কিনে ট্যাঙ্ না দেয়ায় ৬২ হাজার টাকা সহ হাাজী আবদুল কুদ্দুস ভূঁইয়া নামে এক শিল্পপতির কোুরবানির গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেছে ইজারাদার খুরশেদ আলী ও তার লোকজন। ইজারাদার খুরশেদ ও তার লোকেরা শিল্পপতি আবদুল কুদুস তার ম্যানেজার মেরাজ ড্রাইভার সানিকে গরুচোর ও জেএমবি বলে অশালীন গালাগালসহ মারধর ও টানা হেঁচড়া করে মানহানি ঘটিয়েছে।
খাজনা আদায়ে অনিয়ম, অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও ক্রেতা-বিক্রতাদের মারধোর করার মতো অব্যাহত ঘটনার ধারবাহিকতায় গত বুধবার রাতে শিবপুরের পুটিয়ার হাটের ত্রিমোহনী এলাকায় এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ম্যানেজার মেরাজ এই মর্মে একটি লিখিত অভিযোগপত্র নরসিংদী জেলা প্রশাসকের নিকট দাখিল করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছেন গত বুধবার ছিলো পুটিয়াবাজারে গরু হাট। শেখেরচর এলাকার আবদুল কুদ্দুস ভূইয়া টেঙ্টাইল মিলের মালিক হাজী আবদুল কুদ্দুস ভূইয়া তার ম্যানেজার মেরাজকে নিয়ে পুটিয়ার হাটে কোরবানির গরু কিনতে যায়। তারা প্রাইভেট কার নিয়ে ত্রিমোহনী মোড়ে গিয়ে দেখে একটি গরু দরকষাকষি হচ্ছে । এ সময় শিল্পপতি কুদ্দুস এই গরুটি ৬৬ হাজার টাকায় কিনে নেয়। কিছুক্ষন পর পুটিয়া বাজারের ইজারাদার খুরশেদ আলী সরকার তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হাজী কুদ্দুস ও তার ম্যানেজার মেরাজকে গরুচোর, জেএমবি ইত্যাদিসহ আশালীন গালাগাল করতে থাকে। এতে শিল্পপতি হাজী আব্দুল কুদ্দুস ও ম্যানেজার মেরাজ জানায় যে, তারা গরুটি বাজার এলাকার বাইরে থেকে ক্রয় করেছে। এতে ইজারাদার খোরশেদ উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকে ৩ মাইল এলাকার ভিতর থেকে গরু কিনলেও বাজারের টেঙ্ দিতে হবে। এ কথা বলে তারা গালাগাল শুরু করলে হাজী কুদ্দুস এই গালাগালের প্রতিবাদ করে। এতে ইজারাদার খোরশেদ ও তার লোকেরা ম্যানেজার মেরাজকে মারধর করে, হাজী কুদ্দুসকে টানা হেঁচড়া করে তার পকেট থেকে ৬২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এরপর তারা তাদের কেনা গরুটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যাবার সময় বলে যায়, বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদের জেএমবি বানিয়ে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হবে। এ অবস্থায় তারা আর কোনো প্রতিবাদ করার সাহস না পেয়ে সেখান থেকে চলে আসে। পরে তারা শিবপুর থানায় এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করতে গেলে থানা পুলিশ তাদের মামলা নেয়নি। যার ফলে তারা গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি লিখিত অভিযোগ নরসিংদী জেলা প্রশাসকের নিকট দাখিল করেন।