নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন –
বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি ২০১৯ :
শিবপুর উপজেলার নিনগাঁও গ্রামের কৃষক সাত্তার গাজীর কাছ থেকে ভূয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করে তিন দফায় প্রায় একলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে শিবপুর উপজেলার বৈলাব গ্রামের মৃত হামিদ মাস্টারের ছেলে মাজহারুল ইসলামের নামে। ভুক্তভোগী সাত্তার গাজী নরসিংদী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ ব্যপারে একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে।
অভিযুক্ত মাজহারুল এলাকায় তথাকথিত নেতা হিসেবে পরিচিত। সে প্রায় সময়ই’ বিভিন্ন এলাকার নিরীহ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী ।
ভুক্তভোগী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান গত ১৯/১০/২০১৯ ইং তারিখে শিবপুরের নিনগাও বাজারে সাদা পোশাকদারী অপরিচিত তিনজন লোক এসে ডি বি পুলিশ পরিচয় দিয় বলে আমাদের কাছে সাত্তার গাজী ও তার ছেলের নামে অভিযোগ রয়েছে। এ-ই অঙ্গাতনামা ডিবি পুলিশের সদস্যরা বাজারে সাময়িক আতংক ছড়িয়ে পকেটে থাকা একটি অভিযোগ পত্র দেখায়। তাৎক্ষনীক অভিযুক্ত মাজহারুল এসে সাত্তার গাজীকে বলে উনারা নরসিংদী থেকে এসেছে টাকা পয়সা দিয়ে দাও নয়তো তোমার অসুবিধা হবে। ভুক্তভোগী সাত্তার গাজী এলাকার গন্যমাণ্য লোকদের জানালে তারা তাকে ডিবি অফিসে যোগাযোগ করে মিমাংসার কথা বলে। পরে মাজহারুল ২ লক্ষ টাকা দিলে এই মাললা শেষ করার প্রস্তাব দেয়। ভুক্তভোগী নিজের কৃষি জমি বন্ধক দিয়ে তিন প্রায় একলক্ষ টাকা দেয় অভিযুক্ত মাজহারুলের কাছে। পরবর্তীতে মাজহারুল বাকি টাকা দেওয়ার জন্য বললে ভুক্তভোগী সাত্তার গাজী অপারগতা প্রকাশ করে এতে প্রতারক মাজহারুলের হুমকির মাত্রা বাড়তেই থাকে। পরে সাত্তার গাজী নরসিংদী ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে সে জানতে পারে যে ভুক্তভোগী সাত্তার ও তার ছেলের নামে কোন অভিযোগ নাই। পরে ছাত্তার গাজী এলাকার লোকজনের সহযোগীতায় নরসিংদী পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করে।
এই বিষয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে ।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত মাজহারুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তার মুঠোফোনে ফোন দিলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবী এই ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রতারক মাজহারুলকে আইনের আওতায় আনা হোক যেন ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।