আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্রলীগের পঁচা গলিত অংশ সার্জারি করতে হব।
বুধবার (২২ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার অভিমুখে। নেত্রী অনেক আশা করে, বাছ-বিচার করে ছাত্রলীগের কমিটিগুলো করেছে। তোমরা (ছাত্রলীগ) তাকে হতাশ করো না। ছাত্রলীগের অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে শুধু সাংগঠনিক না প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। খারাপ ছেলেমেয়েদের আমাদের কোনো দরকার নেই। যারা খারাপ সংশোধিত না হলে তাদের বের করে দাও। যাদের নামে বদনাম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য ও মাদকের মানসিকতা যাদের তাদের পরিহার করতে হবে। অপকর্মের সাথে জড়িত কাউকে নেতা বানানো যাবে না। এদের বিরুদ্ধে শুধু সাংগঠনিক না প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ছাত্রলীগের কাছে আমরা অনেক আশা করি। আমরা মনে করি এই কমিটি কিছু করবে। আমাদের হতাশ করো না।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭০ সালে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার লাভ করেছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতারা চেয়েছিলেন একজন সামরিক কর্মকর্তা ঘোষণা দিলে বাঙালি উজ্জীবিত হবে। কাজেই তাকে খুঁজে এনে চট্টগ্রাম কালুরঘাটে ঘোষণা দিতে বলা হয়। সে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের ইতিহাস মুছে দেয়ার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশুপার্ক বানিয়েছিল। ৭ই মার্চ, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ও টুঙ্গিপাড়া নিষিদ্ধ করেছিল। গণতন্ত্রকে তোমরা (বিএনপি) হত্যা করেছো, সমাহিত করেছো। বিএনপির আন্দোলন এখন চোরাবালিতে আটকে গেছে। পিতাকে দিয়ে স্বাধীনতা, কন্যাকে দিয়ে মুক্তি। শেখ হাসিনা আজ মুক্তির সংগ্রামের কান্ডারি। দশ দফা ভুয়া, সাতাশ দফা ভুয়া, বিক্ষোভ মিছিল ভুয়া আর নেতাও ভুয়া। আমরা পালিয়েছি? তোমার (বিএনপি) নেতা ফকরুলই মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছে। বিএনপি ধ্বংস করেছে, শেখ হাসিনা মেরামত করেন।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, জাতির পিতা আমাদের প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি এমন রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন যা উদার এবং গণতান্ত্রিক। আধুনিক গনতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতিতে উদুদ্ধ হয়ে আমরা যেন বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি এই আশা ব্যক্ত করছি।
প্রধান আলোচক ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, সভাপতিমণ্ডলীর, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং বিশেষ আলোচক ছিলেন তারানা হালিম, সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
তারানা হালিম বলেন, ছাত্রলীগ দাঁড়িয়ে থাকবে, ঘাম মুছবে, কিন্তু এসি রুমে আলোচনা সভা করবে না, এই ছাত্রলীগ আমরা দেখতে চাই। মেজর জিয়াউর রহমানের ছাত্রসমাজে দান ছিল বন্দুক হাতে সন্ত্রাসী হয়ে ঘুরে বেড়ানো। আমরা আদর্শগতভাবে ভিন্ন। এই ছিন্নতা ও বিভাজন থাকবে।
তিনি আরও বলেন, জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে এগোতে বলেছিলেন। বেগম জিয়া এই আগস্ট মাসে তিনবার জন্মগ্রহণ করে ফেলেন। কিছু বাঙালি তো বিশ্বাসঘাতকই। তাই পার্থক্য থাকবেই। কালোকে কালো বলতে হবে, সাদাকে সাদা বলতে হবে। এর মাঝে কোনো ধূসর আছে বলে আমি মনে করি না। হাতিরঝিল, মেট্রোরেল ও পদ্মাসেতুর মতো মেগাপ্রকল্প কি তারা বানাতে পারবে? তারা তো বানিয়েছে কতগুলো খাম্বা। আপনারা (বিএনপি) টাকা প্রচার করে উচ্চ বেতনের লবিস্ট নিয়োগ করেন। বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর আমেরিকার স্যাঙ্কশান চান। দেশ প্রথম, দেশ প্রথম বলে শেখ হাসিনা ফেনা তুলেন না। তিনি কাজ করে দেখান।