নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন, বৃহস্পতিবার, ০৭ জুন ২০১৮: নরসিংদীতে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এবং পুরো শহর সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করতে সিসি টিভি ক্যামেরা বসানোর পর এবার আনা হলো ড্রোন। শহরের স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ড্রোন দিয়ে। এ ছাড়া শহরের প্রায় ৮০টি পয়েন্টে বসানো হয়েছে উচ্চ রেজল্যুশনের সিসি টিভি ক্যামেরা।
নরসিংদীর বিভিন্ন দুর্গম চরাঞ্চলে টেঁটাযুদ্ধ নিয়ন্ত্রণে ড্রোনের সাহায্যে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। এটি সারা দেশে জেলা পর্যায়ে পুলিশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রথম উদ্যোগ জানিয়েছে নরসিংদী জেলা পুলিশ।
নরসিংদী পৌরসভা কার্যালয় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী পৌর এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি পৌর মেয়র মো. কামরুজ্জামান কামরুলের উদ্যোগে ব্যাংকপট্টি, শহরের স্কুল-কলেজসহ জনগুরুত্বপূর্ণ প্রায় ৮০টি জায়গায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এগুলো দিয়ে সার্বক্ষণিক পুরো শহরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তা ধারণ করে প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে গত তিন মাসে ইভ টিজিং, ছিনতাই, প্রকাশ্যে মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে আসন্ন ঈদুল ফিতরসহ স্থায়ীভাবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে চলতি মাসে পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুনের উদ্যোগে আনা হয়েছে উন্নত প্রযুক্তির দুটি ড্রোন। এর সাহায্যে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পুরো শহরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
পৌর মেয়র ও পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে জেলাবাসী। জেলা পুলিশের ড্রোন ব্যবহারকে স্বাগত জানিয়ে মনির তালুকদার নামে একজন ফেসবুকে লেখেন, ‘সব জেলায় এমন কার্যকরী নজরদারি চাই।’ ছোটন হোসেন নামের আরেকজন লেখেন, ‘আমার পছন্দ হইছে যদি আরো আগে এই সিস্টেম চালু করত, তাহলে হয়তো এত অপরাধ হইত না।’
পুরো শহরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যাপারে মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল কালের কণ্ঠ’কে বলেন, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে।
ড্রোনের ব্যবহারের বিষয়ে পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘জেলার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে এই ড্রোনের ব্যবহার; যা সারা বাংলাদেশে এই প্রথম। এর মাধ্যমে সবকিছুতে পুলিশের নজরদারি থাকবে।’ তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘ধরেন অনেক সময় যানজট কিংবা নানাবিধ সমস্যার কারণে ঘটনাস্থলে পুলিশের যেতে দেরি হলে দ্রুত ঘটনাস্থলে ড্রোন পাঠিয়ে তা পর্যবেক্ষণ করা সহজতর হবে।’
মনিরুজ্জামান, নরসিংদী ৭ জুন, ২০১৮: