সাব্বির হোসেন | নরসিংদী প্রতিদিন –
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯:
নরসিংদীর পলাশে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ মাদক, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নরসিংদী- ২ পলাশের এমপি আলহাজ্ব ডাঃ আনোয়ারুল আশরাফ খান খান দিলীপ। তিনি এসময় সবাইকে সালাম ও বড় দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি। এবং আল্লাহ পাকের দরবারে তাঁর পরকালের শান্তি কামনা করেন। একই সাথে বিজয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৩০ লক্ষ শহীদ ও চার লক্ষ মা বোন যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে ইজ্জত হারিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি আরও বলেন, আমরা যদিও পলাশে ১০০% মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত পলাশ গড়তে পারিনি। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা, ঐকান্তিক ইচ্ছা ও স্বদিচ্ছার কোন অভাব নেই। আমরা বিশ্বাস করি সে দিন অত্যন্ত নিকটবর্তী যে দিন
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য নরসিংদী পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, বাংলাদেশ জঙ্গি দমনে রোল মডেল তাহলে বাংলাদেশ সব কিছু দমনে রোল মডেল হতে পারে। তিনি আরো বলেন, নরসিংদীর সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদক। এ মাদকের সাথে সম্পৃক্ত মানুষ তিন ভাবে হয়- কেউ মাদক সেবন করে, কেউ মাদকের ব্যবসা করে, কেউ মাদক বহন করেন। আর কিছু হোয়াইট কৃমিনাল আছে তারা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থাকেন। তারা পিছন থেকে মাদকের ব্যবসা চালান। মাদকের গডফাদার হোন আর মাদক বহন করেন, মাদক সেবন করেন। আপনি সমাজের যত বিত্তশালী হোন, যত পাওয়ার ফুল হোন- এসবের মূল টেনে উপরে ফেলবো। ঘোড়াশাল ও ডাংগায় অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি। কোন চাঁদাবাজি ঘোড়াশাল পলাশে চলবেনা। এসব করে নিস্তার পাবেন না, ভাল হয়ে যান।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন পলাশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন, পলাশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কবির মৃধা, ঘোড়াশাল পৌর মেয়র আলহাজ্ব শরীফুল হক, নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান (এসপি)।
এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারীউল্লাহ সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার, পলাশ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আল-মুজাহিদ হোসেন তুষারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ব্যক্তিবর্গ। আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।