আলমগীর পাঠান | নরসিংদী প্রতিদিন-
সোমবার,২০ এপ্রিল ২০২০ :
বেলাবতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীর সাথে ঘনিষ্টতা থাকার কারনে প্রশাসন ও গ্রামবাসির অনুরোধের পরও লকডাউন না মানার অভিযোগ উঠেছে একটি পরিবারের বিরুদ্ধে। এমনকি উক্ত পরিবারের সদস্যরা কোয়ারেন্টাইনে না থেকে হাট বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে অবাধে চলা ফেরা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসিরা। বেপরোয়া এই পরিবারটির এক ঘেঁয়েমির কারনে চরম আতঙ্কে দিনযাপন করছেন ঐ এলাকার মানুষ। এলাকাবাসি জানান, সম্প্রতি দক্ষিণ বটেশ্বর গ্রামে এক তরুনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। উক্ত তরুনের ঘনিষ্ট বন্ধ ছিল শাকিল নামে আরেক তরুনের। ফলে করোনা আক্রান্ত তরুনটির সাথে শাকিলের উঠাবসা ও ঘনিষ্টতা ছিল সবচেয়ে বেশি। শাকিল তার মাকে নিয়ে পাশের গ্রাম রাজারবাগে ভাড়া থাকতো। ঐ ভাড়া বাসা থেকে এলাকাবাসি তাদেরকে বের করে দিলে তারা রাতের আধাঁরে উঠে শাকিলের মামার বাড়ি বটেশ্বর পূর্বপাঁড়া গ্রামের আঃ মন্নাফের ছেলে তোতা মিয়ার বাড়িতে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসি তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে অনুরোধ করে। কিন্তু তোতা মিয়া গ্রাম বাসির কথা না মানায় গ্রামবাসি পূণরায় বৈঠক করে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুরোধ করে। কিন্তু বেপরোয়া তোতা মিয়া ও শাকিলের মামার বাড়ির লোকজন কোয়ারেন্টাইনে না থেকে অবাধে হাটবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে। ফলে গ্রামবাসি স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনায় গতকাল উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে শাকিলকে না পেয়ে তোতা মিয়ার পরিবারটিকে লগডাউন ও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়ে যায়। প্রশাসন চলে যাবার পর আবার পরিবারটি এলাকাবাসি ও প্রশাসনের কথায় কর্ণপাত না করে গায়ের জোড়ের উপর নানা কথা বলে।
অভিযুক্ত পরিবারের কোন সদস্যকে না পেয়ে তাদের বাড়ির মোবাইলে একাধিকবার ফোন করার পরও ফোন না ধরায় বক্তব্য নেয়া সম্বব হয়নি।
আমলাব ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য সচিব ও উক্ত পরিবারের প্রতিবেশি মোঃ খলিলউলাহ তপন বলেন,তারা কারো কথা শুনেনা। প্রশাসন ও গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বললেও তারা কারো কথাই কর্ণপাত করছেনা। আমরা গ্রামবাসি আতঙ্কে আছি পরিবারটির জন্য।
বেলাব উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ বেলাল হোসেন বলেন,আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ ছেলেটাকে পাইনি। তবে আমি পরিবারটিকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। শুনেছি তারা নাকি কোয়ারেন্টাইন মানছেনা। দেখি কি করা যায়।