শেখ মানিক | নরসিংদী প্রতিদিন-
মঙ্গলবার- ২৮ এপ্রিল ২০২০: করোনা ভাইরাসের কারনে সারাদেশ চলছে লগডাউন, আর সেই মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যেও থেমে নেই মাদক ব্যবসায়াীরা। পুলিশের ঝামেলা এড়াতে বিভিন্ন কৌশল পরিবর্তন করেছে তাঁরা।
জানা যায়, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার আয়ূবপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোর্শেদের ছেলে মাজারুল দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছে। গত ২৫ তারিখে মাছের পোনা আনার কথা বলে স্থানীয় নজরুলের গাড়ী ভাড়া করে এনাম ড্রাইভার কে সাথে নিয়ে ইটাখোলা শহীদ মিনার এলাকা থেকে খালি ড্রামে মধ্যে পানি ভর্তি করে মাদক চালান আনতে গিয়ে চান্দুরা এলাকায় পুলিশের চেকপোষ্টে ফেন্সিডিলের বোতলসহ আটক হয়। কিন্তু কৌশলে মাজারুল ও গাড়ির চালক গাড়ি রেখে পালিয়ে আসে। এতে গাড়ির মালিক নজরুল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের কাছে অভিযোগ করেন যে, মাজারুল আমার গাড়ি ভাড়া নিয়েছে মাছের পোনা আনতে। কিন্তু সে আমার গাড়িতে মাছের পোনা বদলে মাদকের চালান আনার সময় গাড়ীসহ আটক হয়। পরে তাঁরা কৌশলে গাড়ী রেখে পালিয়ে আসে। পরে গাড়িটি উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে জানালে চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান সরকার মেম্বার কে বলে দিয়েছে গাড়িটি উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য। ওই ঘটানার পর থেকে মাজারুল বাড়ীতে আসছে না। মাজারুল এর আগেও মানব প্রাচারের অভিযোগ ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। কিছুদিন আগে শিবপুরের দুই মাদক ব্যবসায়ী গাড়ির চাকার ভিতর করে ফেন্সিডিল আনতে গিয়ে মাধবপুর এলাকায় পুলিশের হাতে আটক হয়ে হবিগঞ্জ জেলহাজতে রয়েছে।
এ বিষয়ে মাজারুলের বাবা মোর্শেদ মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি জানান কি কারণে গাড়ি আটক হয়েছে আমার জানা নেই, আমি অহিদ মেম্বার কে সাথে নিয়ে গাড়ি আনতে যাব। মাজারুল বাড়ীতে নাই।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সরকার জানান, গাড়ির মালিক আমাকে জানিয়েছে যে, তার গাড়িটি মাজারুল ভাড়া করছে মাছের পোনা আনার জন্য। পরে শহীদ মিনার এলাকা থেকে খালি ড্রামে পানি ভর্তি করে নিয়ে গেছে। তারপর ফেন্সিডিলের বোতলসহ গাড়িটি আটক করে ওই এলাকার পুলিশ। মাজারুল ও চালক গাড়ী রেখে পালিয়ে আসছে। পরে আমি মোরশেদ মেম্বারকে বলেছি যে, তার গাড়িটি যেভাবেই হোক উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য।