মোঃ আব্দুল কাদির | রায়পুরা প্রতিনিধি
-বৃহস্পতিবার-১১ জুন ২০২০: নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলের কীটনাশক ট্যাবলেট খেয়ে ঝুমি খাতুন (১৯) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার বিকালে উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চান্দেরকান্দিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন জানায়,কীটনাশক ট্যাবলেট খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ঝুমি। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নরসিংদী সদর হাসপাতারে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে গাড়ি যোগে নরসিংদী নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়,ছয় মাস আগে একই ইউনিয়নের বটতলীকান্দি গ্রামের মৃত খায়েস মিয়ার মালয়েশিয়া প্রবাসী ছেলে মনির মিয়ার সাথে চান্দেরকান্দি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে ঝুমি খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুই মাস ছুটি কাটিয়ে প্রবাসে পাড়ি দেন মনির। স্বামী বিদেশ থাকার সুবাধে ওই গৃহবধূ তার শশুর বাড়ির এলাকার বিল্লাল মিয়া নামে এক বিবাহিত যুবকের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। দেড় সপ্তাহ আগে ওই গৃহবধূ ও তার পরকীয়া প্রেমিককে শশুর বাড়ির পুকুর পাড় থেকে আটক করা হয়। পরে শালিসি বিচার বসিয়ে দুই লাখ টাকায় বিল্লালকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ঝুমি তার বাবার বাড়িতেই থাকছিলেন। এ ঘটনা জেনেও মনির তার স্ত্রী ঝুমিকে নিয়ে সংসার করতে রাজি হয়। গতাকাল ঝুমি তার স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার কয়েক ঘন্টা পরই কীটনাশক ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহতের বাবা সিয়াস উদ্দিন বলেন,আমি কাজের সুবাদে নরসিংদী ছিলাম। ফোনে মেয়ের কীটনাশক ট্যাবলেট খাওয়ার সংবাদ পাই। তবে কি কারণে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে তার কারণ জানাতে পারেননি তিনি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বাঁশগাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোবিন্দ্র সরকার নিহত গৃহবধূর লাশ সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।