ডেস্ক রিপোর্ট,
২৭ আগস্ট ২০২০।বৃহস্পতিবার
লক্ষ্মীপুরে ভাই হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছে বোন। মরদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের মাধ্যমে রহস্য উম্মোচনের দাবি নিহতের পরিবার, চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসির।
এদিকে আসামিদের হুমকির ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে নিহত রিপনের দুই বোন। নিহত রিপন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমণী মোহন ইউনিয়নের চর আলী হাসান গ্রামের জয়নাল মোল্লা বাড়ির মৃত জালাল মোল্লার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন (শনিবার) বেলা ১২টার সময় আসামিরা রিপনের চাচা শাহ আলম মোল্লা, কামরুল মোল্লা, চাচী সাবিনা আক্তার, ফুফা হারুন মাঝি ও ফুফু কদবানু রিপনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রিপনের লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
মরদেহ উদ্ধারের পর গায়ে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ১নং আসামি চাচা শাহ আলম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল মোল্লা, লাশের পোস্টমর্টেম না করার জন্য থানায় লিখিত আবেদন করে এবং পোস্টমর্টেম ছাড়াই তড়িৎ গতিতে মরদেহ দাপন করেন।
পরিবার ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, ছোট বেলায় রিপনের বাবা মা মারা যায়। রিপন তাঁর পাকা বসত ঘরে দাদা কে নিয়ে থাকতেন। বাড়ির সামনেই রিপনের একটি মুদি দোকান ছিলো। রিপনের স্ত্রী সন্তান না থাকায় কাজের সুবিধার জন্য চাচা কামরুল তার স্ত্রী সাবিনাকে নিয়ে রিপনের বসত ঘরে উঠেন।
রিপনের দুই বোনের দাবি তার ভাইয়ের বসত ঘর, নগদ টাকা, চেক দোকানের মালামাল আত্মসাৎ করার লোভে আসামিরা রিপনকে হত্যা করেছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করলেই এর আলামত পাওয়া যাবে। মামলার বাদি নিহতের বোন, নাজমা আক্তার ও কোহিনূর বেগম, ভাই হত্যার বিচার ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ জানান, রিপনের মৃত্যু, হত্যা না আত্মহত্যা তা রহস্যময়। তাই এলাকাবাসীর সাথে একমত পোষণ করে রিপনের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, কোট থেকে যে নির্দেশনা আসছে তার আলোকে বিস্তারিত দেখে রিপোর্ট দেওয়া হবে।