ডেস্ক রিপোর্ট । নরসিংদী প্রতিদিন-
বুধবার,৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২০:
নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৮ জনের অবস্থা এখনও ‘আশঙ্কাজনক’ বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
বুধবার (৯ সেপ্টম্বর) দুপুরের দিকে ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘এখন ৮ জন এখানে ভর্তি রয়েছে। সবাই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছে। এদের সবারই শ্বাসনালী বার্ন রয়েছে। সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে তাদের চিকিৎসা চলছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দগ্ধদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে প্রতিনিধ আসবেন। দগ্ধদের চিকিৎসায় কার কি প্রয়োজন সে অনুযায়ী আমরা লিস্ট করছি। উনাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।’
গেল শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর দগ্ধ ৩৭ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে মামুন নামে একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি ৮ মুসল্লির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাদের প্রত্যেকেরই শ্বাসনালী, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
নিহতরা হলেন- সাব্বির (২২), দেলোয়ার হোসেন (৪৫), জুয়েল (৭), জামাল (৪০), রাসেল (৩০), জুবায়ের (১৪), রিফাত (১৮), হুমায়ুন কবির (৪৩), কাঞ্চন (৩৭), নয়ন (২৭), হুমায়ুন কবির (৭০), মোস্তফা কামাল (৩৫), ইব্রাহিম (৪৩), রিফাত (১৮), জুনায়েদ (১৭), কুদ্দুস বেপারি (৭২), রাসেল (৩৪), বাহাউদ্দিন (৬২), মালেক (৬০), মিজান (৪০), নাদিম আহমেদ (৪০), শামীম হাসান (৪৫), জুলহাস, মো. আলী মাস্টার (৫৫), আবুল বাসার মোল্লা (৫১), মনির ফরাজী (৩০) ও ইমরান (৩০)।
বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টে।
একইসঙ্গে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কেন ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে হতাহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করতে বলেছেন। জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে এই টাকা বিতরণ করবেন বলেও আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।