ফেইসবুকে বিভিন্ন ট্রাভেল গ্রুপের আড়ালে ভয়ংকর ফাঁদ পাততেন শামীম নামে এক যুবক। নানা প্রলোভনে নারীদের প্রতারণা করতেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে সিরিয়াল ধর্ষণের অভিযোগও পাওয়া গেছে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে র্যাব-৪ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার কামরুল হাসান ওরফে শামীমের পেশা ও নেশা হচ্ছে ফেসবুকে বিভিন্ন ট্রাভেল গ্রুপে যোগদান করে নারীদের সঙ্গে পরিচয় হওয়া। পরে তাদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাওয়া। তার বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এলাকায়। তিনি একজন কুখ্যাত সিরিয়াল রেপিস্ট ও চাঁদাবাজ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত শামীম র্যাবকে জানিয়েছেন, তার পেশা ও নেশা হচ্ছে ফেসবুকের বিভিন্ন ট্রাভেল গ্রুপে যোগদান করে সেখান থেকে স্বচ্ছল, অসুখী ও একটু বয়স্ক মহিলাকে টার্গেট করে পরিচিত হওয়া। তারপর বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরি করে বাংলাদেশের বিভিন্ন ট্যুরিস্ট লোকেশনে ঘুরতে যাওয়া। সেখানে বিভিন্ন মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি, ভিডিও ধারণ করা।
র্যাব জানায়, ঘোরাঘুরি শেষে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর ওই যুবক ভয়-ভীতি দেখাতেন। ধারণ করা ভিডিও, ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিতেন। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনদের কাছে ফাঁস করে দেয়ার কথা বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা-পয়সা থেকে শুরু করে স্বর্ণ-গয়না হাতিয়ে নিতেন। ভুক্তভোগীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ডিভাইস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পরিচিতদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা চাওয়া এবং তাকে সর্বদা চাপে রাখাসহ বিভিন্ন হুমকির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়ার পর অভিযুক্তের মোবাইলের গোপন গুগল ড্রাইভে ১৪ জন নারীর বিভিন্ন আপত্তিকর ও অশ্লীল ভিডিও ছবি পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।