নরসিংদীর পলাশের গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিড়ে ফেলাসহ চেয়ারম্যানের কক্ষ ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। শপথ গ্রহণের পর নবনির্বাচিত স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরী ও তার লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগ। এঘটনায় শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে পলাশ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামীরলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম আলমগীর হোসেন। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করছেন নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান।
তিনি শনিবার(৩১ জুলাই) বিকাল তিনটায় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছে পলাশ উপজেলা আওয়ামীলীগ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কবির মৃধা এবং গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বিদায়ী চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, ২১ জুন প্রথম ধাপের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বদরুজ্জামান ভুইয়াকে পরাজিত করে বিএনপি জামাত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন চৌধুরী জয়লাভ করেন এবং গত ২৮ জুলাই নবনির্বাচিত চেয়াম্যান জাকির হোসেন শপথ গ্রহণ করেন। পরে ২৯ জুলাই রাতে চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে শাম্পু মিয়া, মাসুদ মিয়া, হাবিব, আইয়ূব মিয়া ও মনির হোসেন সহ প্রায় ২ শতাধিক সমর্থকরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে ঢুকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিড়ে ফেলে ভাংচুর চালায়। পরে পরিষদে থাকা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বাঁধানো ছবি, চেয়ারম্যানদের নামের তালিকার বোর্ডসহ ব্যাপক ভাংচুর করে।
এছাড়া বাইরে থাকা স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ছবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলার অভিযোগও করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরীকে প্রধান অভিযুক্ত করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২ থেকে আড়াই শতাধিক সমথর্কদের নামে লিখিত অভিযোগ করেন গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আলমগীর হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে ঘোড়াশাল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শরীফুল হক, সাধারণ সম্পাদক এসএম শফি, জেলা আ.লীগের সদস্য মাহফুজুল হক টিপু, জিনারদী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রফেসর কামরুল গাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে গজারিয়া ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, আমার বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তবে পোস্টার ও ছবি কে বা কারা ছিড়ে ফেলেছে বলে শুনেছি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।