করোনাভাইরাসের কারণে এ বছরও হচ্ছে না বই উৎসব। তাই আজ শনিবার (১ জানুয়ারি) থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব ছাড়াই বই বিতরণ শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ভিড় এড়াতে একেক দিন একেক শ্রেণির বই বিতরণ করা হবে। এর আগে, গত ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১ থেকে ৩ জানুয়ারি, সপ্তম শ্রেণিতে ৪ থেকে ৬ জানুয়ারি, অষ্টম শ্রেণিতে ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি এবং নবম শ্রেণিতে ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে। অর্থাৎ আগামী ১২ দিনের এ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য এবার ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের বই ছাপা হচ্ছে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৪ কপি। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পাঠ্যপুস্তক ও ৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় প্রণীত পাঠ্যপুস্তকও রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকের শতভাগ বই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পৌঁছানো হয়েছে। আর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের ৯৫ শতাংশ বই পৌঁছেছে।
বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর দুই মন্ত্রণালয়ই দাবি করেছে, গত দুই বছরের চেয়ে এবার অপেক্ষাকৃত ভালো বই দেওয়া হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, দফায় দফায় পরিদর্শনের কারণে করোনা সংকটের মধ্যেও ভালো বই দিতে পেরেছে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো। আমি নিজেও দফায় দফায় পরিদর্শন করেছি। এজন্য বইয়ের মান ভালো হয়েছে।
এর আগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেছিলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব বই উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন তারা।
এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. সাইদুর রহমান বলেন, প্রাথমিকের বই আগেই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বাকিগুলো জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চলে যাবে।