1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

ক্ষুধার্ত মেঘনার সঙ্গে লড়ছে নরসিংদী

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২
  • ৬০৪ পাঠক

মেঘনার পাড়জুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে নরসিংদীতে। নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি, ভিটে মাটি। ভাঙনের কবলে পড়ে এরই মধ্যে এই জেলার অসংখ্য মানুষ গৃহহীন ও ভূমিহীন হয়ে পড়েছেন। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড তৎপর থাকলেও ক্রমাগত ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না।

সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, নজরপুর গ্রামের দক্ষিণে মেঘনার তীরবর্তী জমিগুলো নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যে দৃষ্টিনন্দন এলাকা হিসেবে পরিচিত নজরপুর টেক (মিনি কক্সবাজার) এলাকাটিও টুকরা টুকরা হয়ে নদীতে খসে পড়ছে। এতে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নরসিংদী সদর ও রায়পুরা উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র বালু উত্তোলনের ফলেই মেঘনার তীরবর্তী জমিগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুম এলেই ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন তীরবর্তী এলাকাগুলোর অসংখ্য মানুষ।

বালু উত্তোলন বন্ধে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদনসহ মানববন্ধনও করা হয়েছে।

নজরপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান বলেন, ‘পূর্বপুরুষের ওয়ারিশের জমিগুলো এই রাক্ষুসে মেঘনা গিলে খেয়েছে। শৈশব থেকে আমরা দেখে এসেছি এই গ্রামের বহু লোকের শত শত বিঘা জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। এই জমিগুলোর মাটি অন্য ইউনিয়নের সীমানায় গিয়ে চর ভাসে। ওই চরগুলো অন্য গ্রামের লোকেরা দখল নেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন যে সীমানা রয়েছে এর চেয়ে দুই কিলোমিটার দূরে নজরপুর ইউনিয়নের সীমানা। দিনে দিনে মেঘনার ভাঙনের ফলে নজরপুরের সীমারেখাও কমে আসছে।’

মিনি কক্সবাজার খ্যাত নজরপুর টেকে বেড়াতে এসেছিলেন রবিউল, আরিফুল ইসলাম ও আলমগীর মিয়া। তারা জানান, নজরপুরের একটি দর্শনীয় স্থান হলো এই টেক। দুই কিলোমিটারজুড়ে এই জমির মালিক স্থানীয়রা। তাদের গরু-মহিষগুলো এখানে ঘাস খেয়ে বাঁচে। কিন্তু এই টেকের জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। ভাঙন দ্রুত ঠেকাতে না পারলে একসময় নজরপুর গ্রামটিই মেঘনায় বিলীন হয়ে যাবে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদীর নদ-নদী পুনঃখনন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয় ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল। ছয়টি নদী খননের আওতায় আড়িয়াল খাঁ নদ, হাড়িদোয়া নদী, ব্রহ্মপুত্র নদ, পাহাড়িয়া নদী, মেঘনা শাখা নদী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র শাখা নদ খনন করা হবে।

প্রায় ৫২৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এবং তত্ত্বাবধানে থাকবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো হলো নদী পুনঃখনন কাজ ২৩১.৮০ কিলোমিটার, ঢেউয়ের আঘাত থেকে নদীর তীর রক্ষার কাজ ২২.২০৪ কিলোমিটার, নদীর তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজ ১.১৫০ কিলোমিটার ও ব্রিজ শক্তিশালীকরণ ৮৫টি। পাঁচ বছর ধরে চলমান এই প্রকল্পের কাজ আরও বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলার পাইকারচর, হিষাশুড়া, করিমপুর, নজরপুর, আলোকবালী ও চরদিঘলদী ইউনিয়নে কাজগুলো দৃশ্যমান হয়েছে।

চলমান এই প্রকল্পের আওতায় রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নে গত বছর ১৭০০ মিটার গ্রামরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ হাতে নেয়া হয়। এই উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল চরমধুয়া ইউনিয়নে নির্মাণাধীন গ্রামরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্ষার জোয়ারে ওই ইউনিয়নের বীর চরমধুয়া গ্রামের ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে ঈদগাঁর জমিসহ ছয় বিঘা জমি মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে বাঁধসংলগ্ন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, মসজিদসহ কয়েক শ পরিবার। পরে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড নরসিংদী ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হয়। এতে কিছুটা নদীভাঙন কমে গেলেও নেয়া হচ্ছে না কোনো স্থায়ী সমাধান।

বীর চরমধুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মকবুল হাসান বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এবার নদীভাঙনের ফলে স্কুলটি ঝুঁকিতে আছে। সংশ্লিষ্টদের নজরে আসায় ভাঙন রোধে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শ্রমিকরা গত বুধবার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে গেছে। এতে ভাঙন বন্ধ হয়েছে।’

রোববার বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী জানান, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নরসিংদীতে ছয়টি নদ-নদী খনন প্রকল্পের কাজ এখন প্রায় ৮০ ভাগ দৃশ্যমান।

তিনি বলেন, ‘রায়পুরা উপজেলায় নদীভাঙন রোধে চলমান প্রকল্পের সঙ্গে নতুন করে অর্থায়ন যোগ হয়েছে। ছয়টি নদ-নদী খনন প্রকল্পের প্রথম বাজেট ছিল ৫২৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এখন তা আবারও বাড়িয়ে ৯০৩ কোটি টাকা হয়েছে। পানি শুকিয়ে গেলে রায়পুরাসহ নদ-নদী খনন প্রকল্পের আওতায় ভাঙন এলাকাগুলোতে আমরা স্থায়ী ব্লক বসাব।’
খবর- নিউজবাংলা, খন্দকার শাহিন।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD