নরসিংদীর রায়পুরায় বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১২ জনকে আহত অবস্থায় ঢাকায় নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা গ্রামে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সংঘর্ষ বাঁধে।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গৌবিন্দ সরকার সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য গোলজার গ্রুপ ও একই ইউনিয়নের ভাটিবদরপুর গ্রামের রবিউল গ্রুপের মধ্যে বালু ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এ বিরোধের জেরে গত মাসেও একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে দুই গ্রুপের মধ্যে। এরই মধে সোমবার সকালে রবিউল গ্রুপের লোকজন নলবাটা গ্রামে এসে গোলজার গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
এতে গোলজার গ্রুপের ১০ জন আহত হন। এছাড়া টেঁটাবিদ্ধ হন একজন।
নলবাটা গ্রামের আল-আমিন বলেন, ‘বালু ব্যবসায়ী রবিউল প্রায় দুই শ লোক নিয়ে গোলজার মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালায়। তাদের কয়েকজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।
‘দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় রবিউলের লোকজনের ছোড়া ছিটা (ছররা) গুলিতে জয়নাল, জামাল, মনির, আল-আমিনসহ গোলজার মেম্বার গ্রুপের ১০ জন আহত হন। এছাড়া নজরুল ইসলাম নামে একজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে গোলজারের মোবাইলে ফোন দেয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক রবিউল ইসলামের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আহতদের প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হয় বলে জানা গেছে।
হাসপাতালের আরএমও লোপা চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, তিনি মিটিংয়ে আছেন। রায়পুরায় সংঘর্ষ ও গুলিবিদ্ধের ঘটনার বিষয়েও অবগত নন।
জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত আসাদ মিয়া বলেন, ‘সকালে রায়পুরার আমিরগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে ১২ জন লোক হাসপাতালে এসেছিল। কারও নাম-ঠিকানা নথি করা হয়নি।
‘তবে শুনেছি তারা গুলিতে আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন টেঁটাবৃদ্ধ ছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সবাইকে ঢাকায় নিয়ে যায় স্বজনরা।’
এ বিষয়ে জানতে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমানকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শুনেছি, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ঘটনাস্থল থেকে আহত কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। সংঘর্ষে জড়িতের নাম-ঠিকানা নেয়ার চেষ্টা করছি।’
সহকারি পুলিশ সুপার রায়পুরা সার্কেল সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, ঘটনাস্থলে রয়েছেন তিনি। তবে গুলিবিদ্ধ ও টেঁটাবিদ্ধ আহতের সতত্যা পাওয়া যায়নি।