তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এতে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজানগোপিন্দি ও বিনাইরচর গ্রামবাসী এ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ছোড়ে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আব্দুর রহিমকে আটক করেছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-আড়াইহাজার) আবির হোসেন জানান, দুপুরে ছোট বিনাইরচর গ্রামের মিথুন নামে এক যুবক স্মার্টকার্ড আনতে উজানগোপিন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ে যান। সেখানে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে ধাক্কাধাক্কির মতো তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে তাকে মারধর করে উজানগোপিন্দী গ্রামের লোকজন। এ ঘটনার পর বিনাইরচর গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত গ্রামবাসী পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।
গ্রামবাসীর বরাত দিয়ে আহত স্থানীয় সংবাদকর্মী শাহজাহান কবির জানান, এর আগে গত শুক্রবার স্থানীয় এক মাদরাসার ওয়াজ মাহফিলে বিনাইরচর গ্রামের এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে উজানগোপিন্দী গ্রামের লোকজন মারধর করে। এ নিয়ে গত তিন দিন উভয় গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যেই সোমবার আরেক যুবককে মারধর করা হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামের মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। এসময় গ্রামবাসী দুই দিক থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার জানান, আড়াইহাজার থানার ৫ পুলিশ সদস্য, স্থানীয় সাংবাদিক এবং উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুর রহিমকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।