শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে শিবপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদের ছেলে আমিনুর রশীদ খান তাপস বাদি হয়ে সোমবার রাতে এ মামলা করেন।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার সোমবার দুপুরে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এই মামলার বাদি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খানের ছেলে আমিনুর রশীদ খান তাপসের এজাহারটি আমরা আমলে নিয়ে সোমবার মামলায় নথিভুক্ত করেছি। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, শিবপুর উপজেলার পুটিয়া কামারগাঁও গ্রামের ফরিদ সরকার, আরিফ সরকার ও মহসিন, একই উপজেলার সৈয়দনগর গ্রামের সাব্বির, পূর্ব সৈয়দ নগর এলাকার মনসুর আহমেদ রানা ও সদর কামারগাঁও এলাকার মোমেন মোল্লা।
এ মামলার বাদি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদের ছেলে আমিনুর রশীদ খান তাপস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাবাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় থানায় গিয়ে এজাহার দিয়েছি। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। বিস্তারিত পরে বলব। বাবা এখনো সংকটাপন্ন নন।’
এর আগে শনিবার সকালে শিবপুর পৌর শহরের নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন শিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রবীণ নেতা হারুন অর রশিদ খান। তিনজন দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে তাকে পরপর ২টি গুলি ছুড়ে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়।
প্রথমে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর শনিবার সকাল ৯টা থেকে উপজেলার প্রধান সড়ক ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও হারুনুর রশিদ খানের সমর্থকেরা।
এ ঘটনায় শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারহানা আহমেদ জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার পিঠে দুইটি গুলি লেগেছিল। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মুখে অক্সিজেন লাগিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম জানান, শনিবার সকালে শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর গুলির ঘটনায় আমরা এর মধ্যে কিছু তথ্য উপাত্ত পেয়েছি। এই তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে আমরা কাজ করছি। আশা করছি এটি যারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, দ্রুতই আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর গুলির ঘটনায় জড়িতদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মূলত সমর্থনকারীরা আন্দোলন করেছে। তবে পুলিশ সুপার বলেছেন এই বিষয় কাজ চলছে। যথনই আসামিরা ধরা পড়বে তখনই বুঝা যাবে এর পেছনে কারা রয়েছেন। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিরা ধরা পড়বে।’
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন বলেন, ‘শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও গুলি করার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে অনতিবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
