শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকীতে শুক্রবার সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়েও স্বাক্ষর করেন।
এর আগে সড়কপথে ১০টা ৩৮ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এবং তার আগে ১০টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছান।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
এদিন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শিশু সমাবেশে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান, অস্বচ্ছল মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করবেন বলে জানা গেছে। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধি প্রাঙ্গণে আয়োজিত বই মেলার উদ্বোধন ও স্টল পরিদর্শন করবেন।
রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।
বেশ কয়েক বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে সারাদেশে উদযাপিত হয়ে আসছে।
১৯২০ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন মহকুমা এবং বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।