বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সমিতি (বাবিসাস) অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলেন নাট্যকার রাজীব মণি দাস। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত বাবিসাস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে তাকে পুরস্কার দেয়া হয়। এ সময় রাজীব মণি দাসের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান, এমপি, বিশেষ অতিথি সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব, এমপি। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন আবুল হোসেন মজুমদার। এ বিষয় নিয়ে কথা হয় রাজীব মণি দাসের সাথে-
কেমন আছেন?
রাজীব: স্রষ্টার কৃপায় ভালো আছি।
বাবিসাস অ্যাওয়ার্ড পেয়ে কেমন লাগছে?
রাজীব: ‘আসলে কোনো কাজের স্বীকৃতি হচ্ছে পুরস্কার। আর সেটা পেলে কার না ভালো লাগে। আমারও ভালো লাগছে। ধন্যবাদ জানাই সংশ্লিষ্ট সকলকে। আপনারা সবাই দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন যাতে সামনের দিনগুলোতে আরো ভালো নাটক, গান, উপন্যাস পাঠক-দর্শকদের যেন উপহার দিতে পারি।’
বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে?
রাজীব: গত ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বরে ‘চোটপার্টি’ শিরোনামে একটি টেলিফিল্ম, ৬ সেপ্টেম্বর একটি ট্রাভেল এজেন্সির বিজ্ঞাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়াও শীঘ্রই ৩টি একক নাটক, ১টি ধারাবাহিক নাটক এবং আরও ২টি বিজ্ঞাপনের কাজ দেখতে পাবেন।
নাট্যকার সংঘের দপ্তর সম্পাদক পদের রাজীব মণি দাসের অনুভূতি কেমন?
রাজীব: এককথায় খুবই চমৎকার। নানান ব্যস্ততার মাঝেও সংগঠনকে সময় দিতে হয়। সংগঠনের সকল সদস্যদের খোঁজ-খবর নিতে হয়। আমাদের সংগঠনের সকলের সাথেই সকলের খুবই হৃদ্যতার সম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে।
নাটকের ভিউয়ের জোয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাই?
রাজীব: ভিউয়ের জোয়ার দিয়ে সব কাজের মূল্যায়ন করা ঠিক না। দেখা গেছে, অনেক ভালো কাজের ভিউ নেই, আবার অনেক ভাওরামি কাজের প্রচুর ভিউ হচ্ছে। তাহলে আপনি সঠিকটা কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? তবে হ্যাঁ, দিনশেষে ভিউটাকেই বর্তমানে কাউন্ট করা হচ্ছে। তাই আমি বলবো, গুণগত কাজের ভিউ না হলেও সেটাকে যেন অবজ্ঞা করা না হয়, তাহলে অনেক ভালো নির্মাতারা ভালো নাটক নির্মাণ করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
রাজীব: একজন লেখকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা লেখা ছাড়া কি হতে পারে। জীবনের শেষ অবধি লিখতে চাই। ভালো কাজ উপহার দিতে চাই। আমার প্রতিটি কাজেই সমাজের জন্য কোনো না কোনো মেসেজ থাকে।
আপনার পরবর্তী উপন্যাস কবে আসছে?
রাজীব: নানান ব্যস্ততার কারণে উপন্যাস লেখার সময় পাই না। তবে, আশা করছি পরবর্তী বই মেলায় নতুন একটি উপন্যাস পাঠক মহল দেখতে পাবে।
আপনার পরিবার সম্পর্কে জানা হয় না, সে বিষয়ে জানতে চাই?
রাজীব: (হাসি) পরিবার সম্পর্কে আসলে আমিও তেমন মিডিয়ায় ফোকাস করি না। তারপরও বলছি। আমরা দুই ভাই, তার মধ্যে আমি ছোট। কোনো বোন নেই। আমার বাবা স্বর্গীয় হয়েছেন অনেক পূর্বেই, মা আছেন। আর আমার স্ত্রী এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
ধন্যবাদ রাজীব মণি দাস?
রাজীব: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।