নরসিংদী প্রতিদিন: গাজীপুরে ড্রামের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া নরসিংদীর ঘোড়াদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নার্গিস বেগম (৫৪) হত্যার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি। অর্থবিত্ত নিয়ে পারিবারিক কলহে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহত শিক্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে এ খুনের ঘটনায় রোববার রাতে জয়দেবপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। নিহত নার্গিস বেগমের ভাই আহমদ হোসেন মানিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নিহত নার্গিস বেগমের স্বামী আনসার উল্লাহ আগে একটি বিয়ে করেছিলেন। বিষয়টি তাঁরা জানতেন না। ওই সংসারে আসমা নুসরাত (৩২) ও মান্নী (৭) নামের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। আনসার উল্লাহর আগের স্ত্রী টিংকু বেগম (৫৭), তাঁর মেয়ে ও মেয়ের জামাতার সঙ্গে ফ্ল্যাট ও জমিজমা নিয়ে নিহত নার্গিসের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল, যা নিয়ে ঢাকার নাখালপাড়ায় বহুবার বিচারসালিস হয়। নার্গিস বেগম ও তাঁর সন্তানদের অর্থসম্পদ থেকে বঞ্চিত করার জন্য তাঁরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন। বহুবার প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
নিহত নার্গিস বেগমের ভাই আহমদ হোসেন মানিক বলেন, তাঁর বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে হত্যার রহস্য গোপন করতে লাশ ড্রামে ভরে গাজীপুরে ফেলে দিয়ে আসা হয়। তিনি এ ঘটনার জন্য তাঁর ভগ্নিপতি আনসার উল্লাহর প্রথম স্ত্রী, তাঁর মেয়ে ও মেয়ের জামাতাকে অভিযুক্ত করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার এসআই মন্তোষ চন্দ্র দাস জানান, এ ঘটনায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার ঈদের দিন বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া বাইপাস মোড়ে আড়তের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে ড্রামেবন্দী স্কুলশিক্ষক নার্গিস বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়।