মোঃ আব্দুল কাদির | রায়পুরা প্রতিনিধি
-শুক্রবার-২১ আগস্ট ২০২০: নরসিংদীর রায়পুরায় এক যুবকের বিরুদ্ধে সাবেক প্রেমিকার গহনা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই যুবকের বাড়িতে হামলা চালায় মেয়ে পক্ষের লোকজন। এতে ছেলে পক্ষের পাঁচজন ও মেয়ে পক্ষের দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে চারজনকে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্র জানায়,একই ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামের ডা. শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. রানার সাথে বাদল মিয়ার মেয়ে শান্তা আক্তারের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। এরই একপর্যায়ে অন্য একটি ছেলের সাথে শান্তার বিয়ে হয়ে যায়। সাম্প্রতিক রানা তার সাবেক প্রেমিকা সঙ্গে উঠানো ছবি ও প্রেমের সর্ম্পক শান্তার শশুরবাড়ির লোকজনের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তিন ভরি স্বর্ণের গহনা হাতিয়ে নেয়। পরে শান্তা তার বাবার বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে শান্তার বাবার বাড়ির লোকজন লাঠি-সোটা নিয়ে রানার বাড়িতে হামলা চালায়। এতে আহত হন রানা (২২), তার বাবা ডা. শফিকুল ইসলাম, ভাই রাজু (১৮) ও দুই বোন রিমা (২০), রুমা (২১)। অপরদিকে এ ঘটনা আহত হন শান্তার বাবা বাদল মিয়া (৪০) ও চাচা মো. মাসুম (৩০)।
রানার বোন রিমা জানান, শান্তার সাথে রানার প্রেমের সর্ম্পক ছিল। বছর খানেক আগে মালয়েশিয়া প্রবাসীর এক ব্যক্তির সঙ্গে শান্তার বিয়ে হয়। তারপরও দুজনের মধ্যে ফোন আলাপ হতো। গত শনিবার শান্তার বাবার বাড়িতে গহনা চুরির ঘটনা ঘটে। সেই চুরির ঘটনায় সন্দেহ ভাজন হিসাবে রানাকে দোষারোপ করে আসছিল শান্তার বাবা বাদল। এ ঘটনার তিনদিন পর বুধবার বিকালে হঠাৎ বাদল ও তার লোকজন বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাদের পরিবারের পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করে।
চান্দেরকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান খোরমেদ আলম মিঠু বলেন, হামলার ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি দুই পক্ষ বসে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার দেব দুলাল বলেন, হামলা আশংকায় দুইদিন আগে রানার বাবা শফিকুল ইসলাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। তবে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কেউ থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।