অভিনয় শিল্পীরা গল্পের সঠিক নির্মাণের প্রয়োজনে কাজ করে যান। কিন্তু পেশাদার অভিনয় শিল্পী হিসেবে বেছে বেছে কাজ করাটা কতটা কঠিন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পেশা হিসেবে অভিনয়কে বেছে নিয়ে বেঁচে থাকার পথটা দুর্গম হয়ে পড়লেও সঠিক চরিত্র অন্বেষণে অপেক্ষা করেছেন দীপান্বিতা মার্টিন। গা ভাসাননি যে কোনো প্রবাহে, প্রলোভনে। অপেক্ষা করেছেন ভালো কাজের। প্রমাণ দিয়েছেন তার পরিশ্রমের।
মাত্র পাঁচ বছরের চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারে ঝুলিতে জমিয়েছেন বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা। বড় পর্দায় তার মুক্তি পাওয়া প্রথম চলচ্চিত্র গাজী রাকায়েতের ‘গোর’। গোর সিনেমার জন্যই শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন এই অভিনেত্রী। অস্কারের মত আসরে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছে এই সিনেমা। চলচ্চিত্র জগতে তার প্রথম কাজ বেলাল আহমেদের ‘মাটির জাহাজ’। ২০০৭-০৮ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রটি এখনও মুক্তির আলো দেখেনি।
বিদেশের মাটিতে প্রশংসিত হলেও দেশের পর্দার জন্য সেন্সর ছাড়পত্র পায়নি আসাদ জামানের ‘জলঘড়ি’। তবে আশার কথা এই, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানাভাবে আলোচিত ও স্বীকৃত চলচ্চিত্র রুবাইয়াত হোসেনের ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে শিগগির। এ চলচ্চিত্রে দীপান্বিতাকে দেখা যাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে।
এছাড়া মুক্তির প্রতীক্ষায় আছে নুরুল আলম আতিকের ‘মানুষের বাগান’, নূর ইমরান মিঠুর ‘পাতালঘর’, অমিত আশরাফের ‘কাঁঠাল’, ফজলে রাব্বির ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’, সেঁজুতি সুবর্ণা টুশির ‘রিপলস’, সাইফুল ইসলাম মান্নুর ‘পায়ের ছাপ’।
চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার মাত্র ৫ বছরের হলেও অভিনয়ে তার যাত্রা শুরু ছোটবেলাতেই। শিশুশিল্পী হিসেবে বিটিভির নাটকে অভিনয় জীবন শুরু করেন দীপান্বিতা। থিয়েটার, মঞ্চনাটক করে অভিনয়কে ঝালিয়ে নিয়েছেন শিশুকাল থেকেই। শতাধিক টেলিভিশন নাটকেও কাজ করেছেন তিনি। ছোটপর্দা আর বড়পর্দার পাশাপাশি ওয়েবেও ঝুঁকেছেন। অভিনয় করেছেন তানিম নূরের হৈচৈয়ের ওয়েব সিরিজ ‘একাত্তর’ এবং রিহান রহমানের পরিচালনায় চরকির ওয়েব সিরিজ ‘নিখোঁজ’-এ। দীপান্বিতার আলোয় আলোকিত হোক চলচ্চিত্র জগত এমনটাই প্রত্যাশা।