নরসিংদী প্রতিদিন: নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে কিশোরী মনিরা হত্যা কা-ের সাথে জড়িত সন্দেহে ২ ব্যক্তিকে আটক করেছে পলাশ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আটককৃতরা হলো হৃদয় মিয়া ও নরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের রহস্য তুলে ধরেন পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ। সংবাদ সম্মেলনে ওসি জানান, নিহত মনিরার সাথে আটককৃত আসামী হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ অবস্থায় মনিরার সাথে অন্য ছেলেরা কথা বলতে দেখে হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪ এপ্রিল রাতে হৃদয় প্রেমের ফাঁদে ফেলে মনিারাকে রেলষ্টেশনের পরিত্যাক্ত গোডাউনে নিয়ে আসে। সেখানে সুবিধা করতে না পেরে শীতলক্ষা নদী তীরের এক নির্জন স্থানে মনিরাকে নিয়ে যায়। এসময় হৃদয় তার বন্ধু নরুল ইসলাম ও রাজনকে সাথে নিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে মনিরা চিৎকার করলে তারা গলায় উড়না পেচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে হত্যাকে আত্মহত্যায় রুপ দেওয়ার জন্য পাশের একটি গাছে ঝুলানোর চেষ্ঠা করে ব্যার্থ হয়ে মনিরার লাশটি নদীতে ফেলে দেয়।
পুলিশ আরো জানায়, মনিরা, হৃদয়, নরুল ইসলাম ও রাজন ঘোড়াশাল বাসষ্ট্যান্ডের পাশে হালিমের ভাঙ্গারি দোকানে কাজ করত। হৃদয় ও তার বন্ধুরা এলাকায় চুরি, ছিনতাই, মাদক সেবনসহ অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিল। হত্যাকা-ের সাথে জড়িত অপর আসামী রাজনকে আটকের চেষ্ঠা চলছে।
উল্লেখ্য: গত ৫ এপ্রিল সকালে পলাশ থানা পুলিশ শীতলক্ষা নদীর ঘোড়াশাল ঘাট থেকে অজ্ঞাত হিসেবে মনিরার (১৪) লাশ উদ্ধার করে এবং পরদিন মনিরার লাশ সনাক্ত করে তাঁর পরিবার।
# লক্ষন বর্মন, নরসিংদী