শরীফ ইকবাল রাসেল: নরসিংদীর পলাশে ভারতবর্ষের প্রথম প্রগতিশীল লেখক সোমেন চন্দের ৭৫তম হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রতিবাদী সভা ও গণসংগীত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকালে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ জেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলার চরসিন্দুর সোমেন চন্দ পাঠাগারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত টিপু।
সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল হক সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণ সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি জাকির হোসেন, ভাই গিরিশচন্দ সেন গণপাঠাগারের সভাপতি মোহাম্মদ শাহীনুর মিয়া, সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মীর লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুমন ইউসুফ ও সোমেন চন্দ পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রগতিবাদী সাহিত্যের ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা সাহিত্যিক সোমেন চন্দ। বাংলা সাহিত্যে প্রতিভাবান কমবয়সী সাহিত্যিকদের মধ্যে সুকান্ত যেমন কবিতায় বিখ্যাত তেমনি সোমেন বিখ্যাত ছোটগল্পে। সোমেনের মত প্রতিভাবান কথাসাহিত্যিক বাংলা সাহিত্যে ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে আজও অবহেলিত। তিনি গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে রাজনীতি করছেন। কিন্তু মাত্র ২০ বছর বয়সে ১৯৪২ সালের ৮ মার্চ ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে আততায়ীদের হাতে শহীদ হন বিপ্লবী এই সাহিত্যিক। প্রগতিশীল লেখক সোমেন চন্দের আদর্শ নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে সকলের মধ্যে দেশাত্ববোধ সৃষ্টি হবে। দূর হবে জঙ্গী, সন্ত্রাস ও মাদকের অভিশাপ।
বক্তারা বালিয়া গ্রামে সোমেন চন্দ্রের পৈতৃক ভিটায় একটি জাদুঘর ও স্মৃতি ফলক নির্মিত এবং গ্রামের সড়কটি সোমেন চন্দের নামে নামকরণের দাবী জানান।
পরে গণসংগীত পরিবেশন করেন হিম মিত্র, মোফাজ্জল হোসেন টুটুল, মীর সাখাওয়াত ও লক্ষণ বর্মণ।