লক্ষন বর্মন, নরসিংদী : নরসিংদীর রায়পুরায় চরাঞ্চল চাঁনপুরে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২০ জন। আজ সোমবার সকালে রায়পুরার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি গ্রামে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতারা হলেন- সওদাগর কান্দি গ্রামের মৃতঃ রহিম ধরের ছেলে আঃ কাদির (৪২) ও একই এলাকার মৃতঃ অলফত আলীর ছেলে ভুট্টু মিয়া (৫০)। আহতদেরকে নরসিংদী ও নবীনগর হাসপাতালে নেয়া।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, প্রভাব বিস্তার নিয়ে দির্ঘদিন যাবৎ নরসিংদীর নদী বেষ্টিত সীমান্ত এলাকা চানপুর ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল সওদাগর কান্দি গ্রামের আওয়ামীলীগ সমর্থিত আব্দুল্লাবাড়ি ও খান্নাবাড়ির মধ্যে দ্বন্ধ চলে আসছে। গত প্রায় এক বছর পূর্বে খান্নাবাড়ির সামসু হাজীর ছেলে খোরশেদকে(৩৫) ধরে নিয়ে আব্দুল্লাবাড়ির লোকেরা হাত-পায়ের রগ কেটে কুপিয়ে আহত করে। এতে খোরশেদ প্রাণে বেঁচে গেলেও চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায়। এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামালীগ নেতা কবীর মিয়া সহ ২৫/৩০ জনকে আসামী করে রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রায়পুরা থানা পুলিশ আদালতে চার্জসিটও প্রেরন করেছেন। গত কয়েকদিন আগে কুয়েত প্রবাসী লিয়াকত মিয়া দেশে ফিরলে উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষ মিমাংসার উদ্যোগ নেয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ সোমবার (২৯ মে) সকাল ১০টায় সওদাগরকান্দি নদীর পারে মিমাংসার জন্য বসেন উভয় পক্ষ। এরই এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা ও টেটা যুদ্ধ বেঁধে যায়। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে খান্নাবাড়ির কবীরের নেতৃত্বে ওৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী টেটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সামসু হাজীর লোকদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে সামসু হাজীর সমর্থক আঃ কাদির বুকে টেটাবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অন্য আহতদের মধ্যে নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর ভুট্টু মিয়ার মৃত্যু হয়। কমপক্ষে আহত আরো ২০ জনকে বি-বাড়িয়া ও নরসিংদী সহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাহারুল ইসলাম সরকার বলেন, এলাকার দুটি গ্রুপ সালিশ দরবারে কথা কাটা-কাটি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছার পর বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।
#