নরসিংদী প্রতিদিন :নরসিংদী সদর উপজেলার কাঁঠালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ হারুন মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে গত ২৪ মে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগপ্রত্র দাখিল করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় হইতে কাঠালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, প্রকল্প, সাধারণ ও বিশেষ টিআর- কাবিখা) কাবিখার প্রকল্প রাজস্ব খাতের ভূমি উন্নয়ন করের ১% টাকার প্রকল্প ও এডিপির প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১ম পর্যায়ের বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান হারুন মোল্লা ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য বিনা আক্তার পারস্পরিক যোগসাজশে অন্য কোন ইউপি সদস্যকে না জানিয়ে প্রকল্প সমূহের ভূয়া মাষ্টার রোল দাখিলের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। তন্মধ্যে শুধুমাত্র অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্প থেকেই প্রায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। উপরে উল্লিখিত খাতসমূহের ২য় পর্যায়ের বরাদ্দও ভূয়া মাস্টার রোল দাখিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা চলছে বলে দাবি করা হয়।
এছাড়াও চেয়ারম্যান হারুন রশিদ মোল্ল্যা ক্ষমতা দেখিয়ে বিধি বহিঃর্ভূতভাবে তামাদিযোগ্য ২০/২৫ বছরের ইউপি ট্যাক্স খাতা পত্র ছাড়া তার নিজের ইচ্ছামতো জনসাধারণের নিকট হতে আদায় এবং উক্ত টাকারও কোন কাজ করেন নাই বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও হারুন মোল্যা তার ক্ষমতা বলে অন্যায়ভাবে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীদের ও কর্মজীবী ছেলে-মেয়েদের চারিত্রিক প্রদানের বেলায় সনদ প্রতি ১০০০/১২০০ টাকা করে হাতিয়ে নেন বলে জানা যায়। সাধারণ জনগণ ওয়ারিশান সার্টিফিকেট চাইলে ও প্রতি সার্টিফিকেটে ৪/৫ হাজার টাকা করে তাকে দিতে হয়। এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা যথাযথভবে বিতরণ না করে অর্ধেকের বেশি টাকা আত্মসাৎ এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ভি.জি.ডি প্রকল্পের বিধি বহিঃর্ভূতভাবে একই পরিবারে ৪/৫টি কার্ড দেয়া এবং কার্ডের মালামাল উঠিয়ে আত্মসাৎ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
জনস্বার্থে তথা জাতীয় স্বার্থে উল্লিখিত অভিযোগসমূহ তদন্তসাপেক্ষে আত্মসাৎকৃত অর্থ আদায়সহ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নরসিংদী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে চেয়ারম্যান হারুন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযোগসমূহের কোন সত্যতা নেই। তদন্ত করলেই তা প্রমাণ হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করার পর অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
জনস্বার্থে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসী।
সূত্র: অনলাইন