নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন –
শনিবার,১০ জুন ২০১৭: অপহরণের দীর্ঘ ১৮ দিনেও অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র শিশু নাহিদকে উদ্ধার করতে পারছে না শিবপুর থানা পুলিশ। নাহিদকে উদ্ধারের জন্য তার ফুফু শাহিদা আক্তার পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না।
শনিবার(১০ জুন) নাহিদের ফুফু সাহিদা আক্তার নরসিংদী প্রেস ক্লাবে গিয়ে তার ভাতিজা নাহিদকে অপহরনের কাহিনী বর্ণনা করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি জানান, নাহিদের পিতার নাম রতন মিয়া ও মায়ের নাম কুলসুম বেগম। এদের বাড়ী শিবপুর উপজেলার জানখারটেক গ্রামে। নাহিদের পিতামাতা দুজনেই লেবাননে প্রবাসী জীবন যাপন করছে। তারা বিদেশ যাবার সময় নাহিদকে দেখাশুনা করার দায়িত্ব দিয়ে যায় তার উপর। গত ২৩ মে বিকেল সাড়ে ৪ টায় নাহিদ বাড়ী থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর আর সে বাড়ী ফিরেনি। তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় গত ৩০ মে সাহিদা আক্তার বাদী হয়ে শিবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নাহিদের বড় চাচা বাদলের নিকট ০১৭৭৮৫৭৫৬৮১ নাম্বার থেকে একটি ফোন আসে। ফোনে অপহরণকারী জানায় যে, নাহিদ তাদের হেফাজতে রয়েছে। ২০ হাজার টাকা নিয়ে হবিগঞ্জ গেলে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। এই কথা শুনার পর ফুফু সাহিদা আক্তার এই নাম্বারটিতে পূনরায় ফোন করলে ফোন রিসিভ করে একজন মহিলা। সাহিদা তার পরিচয় জিজ্ঞাস করলে সে জানায় যে, সে খৈনকুট গ্রামের সাব্বিরের মা। কি কারণে তাকে নেয়া হলে এ কথা জিজ্ঞাসা করা হলে সাব্বিরের মা জানান যে তিনি কিছু জানেন না। এরপর মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনা শিবপুর থানা পুলিশকে জানানোর পর থানা পুলিশ সাব্বিরের বাড়ীতে হানা দেয়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই সাব্বির ও তার মা, বাবা, ভাই বোন, আত্মীয়-স্বজন সবাই বাড়ীঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপর থানা পুলিশ নাহিদকে উদ্ধারে আর কোন তৎপরতা চালাচ্ছে না। থানা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তাদের সহানুভূতি অর্জন করতে পারেনি সাহিদা আক্তার। একথা বলে তিনি প্রেস ক্লাবে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং সাংবাদিকদেরকে সদয় সহযোগিতা কামনা করেন।