নরসিংদী প্রতিদিন : নরসিংদীর কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির আজীবন সভাপতি মরহুম হাজী সেলিমের সম্পতি আত্মসাতের পাঁয়তারা চলছে। খুলতে শুরু করেছে রহস্যের জট। চিরন্তন সত্য একটা প্রবাদ আছে- সত্য বেশিদিন চাপা থাকেনা। আর যারা নরসিংদী শহরে স্থানীয় বাসিন্দা তারা সকলেই বিশিষ্ট ঔষধ ব্যবসায়ী ও সেলিম মেডিকেল হলে মালিক বিশিষ্টজন মরহুম হাজী সেলিম মিয়াকে চিনতেন এবং জানতেন। হঠাৎ একদিন তার আকস্মিক, মর্মান্তিকভাবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ধারা নিহত হয়। সেসময় নরসিংদী পৌর শহরের তার চেনা জানা লোক জনের মধ্যে আতঁঙ্ক ও মৃত্যুটিকে ঘিরে ব্যাপক গুঞ্জন এবং রহস্যের সৃষ্টি করেছিল। হাজী সেলিম মিয়া তার চেষ্টা, পরিশ্রম ও মেদা দিয়ে নরসিংদী শহরের প্রায় প্রতিটি সেরা জমির মালিক হওয়ায় বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের চক্ষুশুল হয়েছিল। তার বিশাল ভূসম্পত্তির গ্রাস করার প্রয়াসে একটি সংঘবদ্ধ চক্র সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা হাতে নেয়। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, এরই অংশ হিসেবে হাজী সেলিম মিয়ার ব্যবসায়িক সহচর তার ২য় পুত্র আশরাফুল ইসলাম রহস্যজনক ভাবে নিজ বাসায় অজ্ঞাত কারণে ২০১৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এই মৃত্যুকে ঘিরেই তৈরী হয় ষড়ষন্ত্রের পথ। তার পুত্রের মৃত্যুর জন্য তাকে আসামী করে হত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করে। বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তিকমূলক তথ্য দিয়ে তাকে মানসিকভাবে বির্পযস্ত করতে তার ১ম পুত্রের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করার চেষ্টা চালায়। স্বার্থান্বেষী মহল এভাবে মিথ্যা প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে পুত্র হত্যার ১০ মাসের মধ্যে তাকে ২০১৫ সালে নিজ বাড়ির সামনে নিমমভাবে হত্যা করে। এখানেই শেষ নয়, চক্রটি এ হত্যাকান্ডটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মরিয়া হয়ে উঠে, যাতে তার ১ম পুত্র নাক,কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: ইফতেখার ইসলাম দিপুর উপর দায়ভার পরে। কিন্তু চিরকালের সত্য সত্যের জয় হবেই। আল্লাহর অপার মেহেরমান ও কিছু সৎ নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তাদের দূরদশী, যথাযথ ও প্রযুক্তির আর্শিবাদে খূনীচক্রের মূল হোতা অন্ধকারের ছায়া থেকে বের হয়ে আসে।নরসিংদীর পুলিশ সুপার ও ডিবি’র চৌকষ পুলিশ কর্মকর্তাদের ৩০দিন অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধার মাধ্যমে সকল খুনীরা ধরা পড়ে এবং হত্যার সাথে জড়িতদের চিহ্নত করে। তার ২য় পুত্রের স্ত্রী রেখা আক্তার সে তার শ্বশুরকে তার সহযোগী আপেলের সাহায্যে রাজিব, মুন্না,(ছোট ও বড়) এদের মাধ্যমে ৩লাখ টাকা দিয়ে তাকে খুন করিয়েছে এবং সকল আসামীরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে এবং তাদের খুনের সন্নিগ্ধ রিপোট দেয়া হয়েছে। ধরা পড়েও খুনীচক্র শান্ত হয়নি, তারা সকলেই জামিনে বের হয়ে এসে হাজী সেলিমের সকল সম্পত্তিতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালত হয়ে বিক্রয়ের অনুমতি নিয়েছে। হাজী সেলিমের সম্পত্তির অংশীদার খুনীচক্র অথচ আদালতে জমাকৃত কাগজে তার নামটিও নেয়া হয়নি। রেখা আক্তার এবং আপন পিতাকে প্রতিপক্ষ দেখিয়ে ভুয়া সাং দেখিয়ে, ভূল জায়গার পরিমাণ দেখিয়ে নিজ ও নিজের সন্তানের নামে নেয়। অথচ এই সন্তানের জন্ম রহস্য নিয়েও সমাজে কথা প্রচলিত যে মৃত্যুর দশ মাস পর সন্তান এবং হাজী সেলিম তার জীবদ্দশায় ঐ সন্তান তার পুত্র নয় বলে সন্তানটিকে অস্বীকার করেছিলেন। সকল কিছুই যে হাজী সেলিম এর সম্পত্তি গ্রাসের জন্য তা আস্তে আস্তে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। এই সম্পত্তির গ্রাস করার জন্য তার ছোট পুত্রবধু নীলনকশার মাধ্যমে জমি আত্মসাতের অভিযোগ করেন তার বড় ছেলে ডা: ইফতেখার ইসলাম দিপু।