বিশেষ প্রতিনিধি,নরসিংদী প্রতিদিন,২৩ মার্চ ২০১৮: আড়াইহাজার উপজেলার রামচন্দ্রদী থেকে উচিতপুরা পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ ছয় মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা উনিশ মাসেও শেষ হয়নি। এ কারণে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলজিইডির আড়াইহাজার কার্যালয় সূত্র জানায়,ইন্টারন্যাশনাল রোড ডায়নামিক (আইআরডি) এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উচিতপুরা থেকে রামচন্দ্রদী চার কিলোমিটার সড়কটি প্রশস্ত এবং আধুনিকায়নের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের মালিকানাধীন নূর এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়।
২০১৬ মালের ২২ আগস্ট স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ নজরুল ইসলাম বাবু এ রাস্তা নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দের এ রাস্তাটি প্রশস্তসহ আধুনিকায়নের কাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও উনিশ মাসেও শেষ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী মোহা. নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ থেকে বেশ কয়েকবার লিখিতভাবে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না করায় সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। সড়কের অধিকাংশ স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের এখন এ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতেও কষ্ট হচ্ছে।
গোপালদী পৌরসভার মেয়র আলহাজ এমএ হালিম শিকদার বলেন, রামচন্দ্রদী থেকে উচিতপুরা পর্যন্ত এ সড়ক দিয়ে আশপাশের লোকজন ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা সোনারগাঁসহ উপজেলার পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ থেকে সাত হাজার লোক প্রতিদিন চলাচল করে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় বিপুলসংখ্যক মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
রামচন্দ্রদী গ্রামের নজরুল ইসলাম, কৃষক আব্দুল বারেক, পাঁচানি গ্রামের মজিবুর রহমান, উচিতপুরা এলাকার বাবুল ভূঁইয়া ও মো. আবদুল লতিফ জানান, হাঁড়িধোয়া নদীর পাশে অবস্থিত এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে তিনশ’ বছরের পুরনো গোপালদী বাজারে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। বছর খানেক আগে সড়কটি আধুনিকায়নের জন্য সংস্কার করার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও এটি সংস্কার না হওয়ায় এ সড়কে চলাচলকারী লোকজন ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোহা. নাসির উদ্দিন জানান, মে মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগে সময় বৃদ্ধি করে আরও চারবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন না করলে তাদের কার্যাদেশ বাতিল করা হবে।
নূর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।