1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

খালেদার জামিনের আইনি লড়াই; প্রেসক্রিপশন বদলাতে পারে বিএনপি

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১৮
  • ২৭৬ পাঠক

নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন,মঙ্গলবার,২৭ মার্চ ২০১৮: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় বিএনপি এবার ‘প্রেসক্রিপশন’ বদলাচ্ছে। বিশেষ করে নিজস্ব আইনজীবীদের নিয়ে নানা ‘প্রশ্ন’ ওঠার পর দলটি নিজেদের আইনজীবীর পাশাপাশি বাইরের আইনজীবী দিয়ে মামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চাউর হয়েছে খালেদা জিয়া তার আইনজীবী প্যানেল থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ অবস্থায় ‘আত্মসম্মান’ নিয়ে মওদুদও মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে খবর এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। যদিও খালেদার আইনজীবীরা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, খবরটি বানোয়াট ও অসত্য। কিন্তু বিষয়টি এখনো নিজে থেকে পষ্ট করেননি মওদুদ আহমদ।

নির্বাচনী বছরে দুর্নীতি মামলায় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর থেকে বিএনপি চরম দুঃসময় অতিবাহিত করছে। এ অবস্থায় যে কোনো মূল্যে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে পুরোদমে নির্বাচনী কর্মকা-ে ঝাঁপিয়ে পড়াই এখন বিএনপির লক্ষ্য। বিএনপির বিভিন্ন সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে খালেদার জামিন প্রলম্বিত হওয়া এবং জটিলতা সৃষ্টির পেছনে সরকারের ষড়যন্ত্র ও দুরভিসন্ধিকেই দায়ী করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

বিএনপির তরফ থেকে একাধিকবার ‘সরকারের ষড়যন্ত্র’ এবং ‘দল ভাঙার চেষ্টা’র পাঁয়তারার অভিযোগ তোলা হলেও অনেকে মনে করছেন, বিএনপি নেতারা সরকারের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বক্তৃতা-বিবৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নানা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এ নিয়ে দলটির মধ্যে আস্থার সংকটও তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতি-সচেতনরা।

খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মন্তব্য করেছিলেন, আইনজীবীদের ভুলের কারণেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘উনাদের (আইনজীবী) নেতা খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন উনাদের ভুলের কারণে। পরের দিন আওয়ামী লীগ নেতা ড. হাছান মাহমুদ চৌধুরী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বক্তব্যের জের টেনে বলেন, খালেদা জিয়ার সাজায় বিএনপির অনেক নেতা খুশি হয়েছেন। তারা খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেই নির্বাচন করতে চান। তা না হলে তিনি (মওদুদ আহমদ) কীভাবে বলেন, খালেদা জিয়া জেলে থাকলে প্রতিদিন বিএনপির ১০ লাখ ভোট বেড়ে যায়?’

শুধু আওয়ামী লীগই নয়, খালেদার মামলায় বিএনপির আইনজীবীদের অদক্ষতা ও আন্তরিকতা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকেও প্রশ্ন তোলা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে টকশোতে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা বিতর্ক তৈরি হয়। বিএনপিও যারপরনাই চেষ্টা করে যাচ্ছে খালেদার জামিনের জন্য। এর মধ্যে জামিন হয়েও আইনি জটিলতার কারণে মুক্তি পাননি খালেদা। এ অবস্থায় খালেদার মামলায় আদৌ নিজেদের আইনজীবীদের কোনো ভুল আছে কি না, কিংবা আইনজীবীদের যথাযথ নির্দেশনা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ‘ঘাপলা’ আছে কি না- এ নিয়ে খোদ বিএনপির নীতিনির্ধারণী মহলে সন্দেহ তৈরি হয়েছে বলেই খবর চাউর হয়েছে ইতোমধ্যে।
নিজেদের আইনজীবীদের ওপর আস্থা না থাকার বিষয়টি দৃশ্যমান হয় খালেদা জিয়ার মামলায় আইনজীবী হওয়ার জন্য ড. কামালের কাছে যাওয়ার পর থেকে। এছাড়া জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট হাসান আরিফকে নুতন করে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার পরও বিষয়টি আলোচনায় আসে। দলীয় ফোরামের এমন সিদ্ধান্তের পর রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ওঠে- বিএনপি কি সত্যিই নিজ দলের আইনজীবীদের ওপর আস্থা হারিয়েছে? বিএনপি স্বীকার করুক না করুক, সর্বশেষ ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইকে খালেদা জিয়ার মামলায় আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা ঘোষণার পর এ গুঞ্জনকে সত্যই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে।

গত ২১ মার্চ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদার মামলার পরমর্শক হিসেবে লর্ড কার্লাইলের নাম ঘোষণা করেন। ওই দিনই স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এক বক্তৃতায় মন্তব্য করেন, নিজেদের আইনজীবীর প্রতি কোনো আস্থা বা বিশ্বাস নেই বলে বিএনপি একজন বিদেশি আইনজীবীকে নিয়োগ করেছে। সেই আইনজীবী একাত্তরের ঘাতক সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী, মীর কাসেম আলীর আইনজীবী হয়েছিলেন। তিনি বলেন, একাত্তরের ঘাতকের লবিস্ট ছিল যে আইনজীবী তাকে ঢাকায় আনছে খালেদা জিয়ার দল। তার মানে হলো, এখনো খালেদা জিয়া জামায়াতকে ছাড়েননি। একাত্তরের ঘাতকদের ছাড়েননি।
বিএনপিসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রশ্নে বিএনপির নীতিনির্ধারক মহল যে কোনো উপায়ই বেছে নিতে প্রস্তুত। এজন্য তারা প্রয়োজনে ‘প্রেসক্রিপশন’ বদলাবেন- এটাই স্বাভাবিক। যে দাওয়াই কাজের বদলে রোগ প্রলম্বিত করে সে দাওয়াই দ্রুত পরিবর্তন করাটাই শ্রেয়। অথবা নতুন দাওয়াই যুক্ত করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। সেজন্যই আইনজীবী প্যানেলে ঘরের বাইরের আইনজীবী এনে কাজ হয় কি না দেখতে চাইছে দল।

তবে খালেদার আইনজীবী প্যানেলে বাইরের লোক যুক্ত করায় কিছুটা নাখোশ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি এটাকে ‘প্রেস্টিজিয়াস ইস্যু’ হিসেবেই নিয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে। মওদুদ আহমদের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম লিখেছে, বাইরের আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার কারণ দলীয় আইনজীবীদের প্রতি খালেদা জিয়া বা দলের নীতিনির্ধারকদের অনাস্থা। এ কারণে মওদুদ আহমদ অপমান বোধ করেছেন। এমনকি তিনি খালেদার সাজার বিরুদ্ধে আপিল আবেদনের মামলা লড়বেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে, এখন যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে যাচ্ছেন দলের নেতারা।’ যদিও এ বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বিএনপিপন্থী হাইকোর্টের একজন আইনজীবী বলেছেন, আমাদের আইনজীবীরা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে। অথচ আমাদের নেতারা সরকারের প্ররোচনায় পা দিয়ে আইনজীবীদের দোষারোপ করছেন। তিনি বলেন, আমরা এখন কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছি না। তাই নেতারা ল’ইয়ার খুঁজছেন। এটা কি আমাদের অপমান করা নয়? ল’ইয়ার না খুঁজে আমাদের ফিসটা জোগাড় করলেই তো হয়।’

মওদুদ আহমদ খালেদার আইনজীবী প্যানেল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন এমন একটি খবর চাউর হয়েছে সোমবার থেকে। বলা হচ্ছে, গত ২৫ মার্চ আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ করতে গেলে খালেদা জিয়া প্রশ্ন করেছেন, আমার বেলায় জামিন পেতে কেন এত দেরি হচ্ছে? কেন আমি জেল থেকে বের হতে পারছি না। অন্য আসামিরা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে জামিন পায়, আমার বেলায় সেটি হচ্ছে না কেন?
ওই দিন সাক্ষাৎকারী আইনজীবী প্যানেলে থাকার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না ব্যারিস্টার মওদুদ। ছিলেন, ব্যারিস্টার মুহম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুর রেজ্জাক খান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন।

ধারণা করা হচ্ছে, মওদুদের ব্যাপারে নাখোশ খালেদা জিয়া। জামিনের জটিলতা তৈরির পেছনে মওদুদের ইন্ধন আছে কি না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ অবস্থায় খালেদা জিয়া মওদুদ আহমদকে মামলার আইনজীবী প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তবে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনি লড়াই থেকে দলের আইনজীবী নেতা মওদুদ আহমদকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশের খবর অসত্য বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা। তবে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সভাপতির কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ একজন সিনিয়র আইনজীবী। তার অনেক সুনাম আছে। অথচ বিএনপিকে দ্বিধাবিভক্ত করতে এ ধরনের নিউজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মওদুদ আহমদকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। সেদিন আমরা ছয়জন আইনজীবী বেগম জিয়ার সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেদিন মওদুদ আহমদ অন্য একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন, তাই দেখা করতে যেতে পারেননি।

আইনজীবী প্যানেলে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে নিয়েই সন্দেহ ও প্রশ্নটা বেশি উঠছে। কারণ রাজনৈতিক অঙ্গনে মওদুদ আহমদের ব্যাপারে ‘সুবিধাবাদিতা’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ এবং ‘ভোল পাল্টানো’র অভিযোগ রয়েছে এন্তার। মওদুদের নিজের দল বিএনপিতেই তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে নেতাকর্মীদের। দলে সবাই তাকে সন্দেহের চোখে দেখেন। এর কারণ মওদুদের রহস্যজনক ভূমিকা। দলের ভেতর তিনি সরকারের লোক হিসেবেই বেশি পরিচিত।

দলের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, ব্যারিস্টার মওদুদের বেশ কিছু বিতর্কিত কর্মকা-ের কারণে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও তাকে তেমন একটা বিশ্বাস করেন না। বিএনপি করলেও তিনি তার দুটি বইয়ে বিএনপি ও জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা লিখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। এছাড়া মওদুদ আহমদের কারণেই খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল বলে মনে করেন অনেকে। ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছাড়ার পর বিএনপির একসময়ের নেতা নাজমুল হুদা বলেছিলেন, মওদুদ বিএনপিতে অত্যুৎসাহী ও হঠকারী লোক। নিম্ন আদালতে আপিল না করে উচ্চ আদালতে গিয়েই ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি হারিয়েছেন খালেদা জিয়া। এটা হয়েছে মওদুদের বুদ্ধিতেই। উচ্চ আদালতে গিয়েও খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি সংক্রান্ত মামলায় ব্যারিস্টার মওদুদ বাড়ি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চাননি। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি তাকে তিনবার স্মরণ করিয়ে দেন, উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আপনি কি নিষেধাজ্ঞা চাচ্ছেন? জবাবে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেছিলেন, আমরা এটা চাচ্ছি না। যার ফলে পরদিনই বেগম জিয়াকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। বিএনপির অনেকেরই ধারণা, ব্যারিস্টার মওদুদ সরকারকে খুশি করতে এ মামলায় ‘দ্বৈত ভূমিকা’ পালন করেছিলেন।

জিয়া অরফানেজ এবং জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় হঠাৎ করে সম্পৃক্ত হয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ সন্দেহের কেন্দ্রে চলে আসেন। আগে থেকেই এ দুটি মামলায় বেগম জিয়ার প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন খন্দকার মাহাবুব হোসেন। তাকে সহযোগিতা করছিলেন সাবেক পিপি আব্দুর রেজ্জাক খান এবং সানাউল্লাহ মিয়া। তারা সবাই ট্রায়াল কোর্টে মামলা পরিচালনায় অভিজ্ঞ। মামলার শেষ দিকে কিন্তু হঠাৎ করে খালেদা জিয়ার মামলায় মওদুদের উপস্থিতি এবং সন্দেহজনক ভূমিকা বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD