শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৮ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
বুধবার,২৬ ডিসেম্বর ২০১৮:
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের বীভৎস চেহারা উন্মোচন হচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যতোই এগিয়ে আসছে বিএনপি- জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে কালো টাকার বিস্তার, সন্ত্রাস ও সহিংস রূপ ততোই উন্মোচিত হচ্ছে। নীতি ও সততার মুখোশ ছেড়ে বেরিয়ে আসছে তাদের বীভৎস চেহারা।’
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘গতকাল রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান ছবি সম্বলিত বিএনপি প্রার্থীর পোস্টার তার সঙ্গে থাকা ঢাকার একটি আসনে সব ভোটারের নাম, ঠিকানা সম্বলিত একটি তালিকাসহ হাওয়া ভবনের কর্মকর্তা ও এক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এর আগেও দেশের বিভিন্নস্থানে বিএনপি-জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের পক্ষে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। যেসব অর্থ দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে এসেছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব টাকার পেছনে রয়েছে দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্র। নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত। পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের অপতৎপরতা নির্বাচন প্রভাবিত, প্রশ্নবিদ্ধ এবং সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতেই এই টাকা পাঠানো হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।’
এসময় আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ঐক্যফ্রন্টের নেতা কামাল হোসেনের সমালোচনা করে বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট গতকাল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে যে অনভিপ্রেত আচরণ করেছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্ব থেকে বিএনপি নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশন নিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। গতকাল কামাল হোসেন ও নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনা বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার ঘটনার মত। কামাল হোসেন নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানারকম উস্কানি দিল নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন।’
তিনি বলেন, ‘ইসি এর কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি। কামাল হোসেনরা লাল কার্ড পাওয়ার মতো একাধিক ফাউল করলেও নির্বাচন কমিশন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অত্যন্ত নমনীয় ভূমিকা পালন করছেন। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন একের পর এক ফাউল করে যাচ্ছেন। রেফারি কিছু বলতে গেলে তারা অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে নিরপেক্ষতা প্রশ্ন তুলছেন।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ফাঁস হওয়া ফোন আলাপ থেকে বোঝা যায় তারা তাদের কর্মীদের কিভাবে নাশকতা ও সহিংসতা সৃষ্টির নির্দেশনা দিচ্ছেন। গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা সৃষ্টি করা হয়েছে আমরা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছি। আদর্শিক সংকট থেকে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোটের নৈতিক উত্তরণ না ঘটলে বাংলাদেশের সুস্থ রাজনীতির লেভেল প্লেইং ফিল্ড ফিরিয়ে আনা কি এত সহজ?’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘সারাদেশের ধনী-গরীব ছাত্র-যুবক কৃষক শ্রমিক নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল নাগরিক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকা মার্কার প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামীলীগ ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কে আবার জনগণের সেবা করার সুযোগ প্রদান করবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর প্রমুখ।
