1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

ডাকসুতে ভুলত্রুটির ব্যাখ্যা দিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯
  • ২৭৩ পাঠক

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন-
রবিবার, ১৭ মার্চ ২০১৯:
দীর্ঘ ২৮ বছর পর সম্পন্ন হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। তবে নির্বাচনে কারচুপি, ভোট জালিয়াতি আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকা শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

শনিবার (১৬ মার্চ) এ নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিস্তর অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাসে সহিংসতার জন্ম দিতেই এসব অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন সংক্রান্ত কতিপয় বিষয়ে কিছু সম্মানিত ব্যক্তির বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও মন্তব্যের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এ বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষ্যে এই ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।

সেখানে আরও বলা হয়, একটি গোষ্ঠী ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে সহিংসতা ও বড় ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে উঠেপড়ে লেগেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবোধধারণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের সেই রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অসৎ উদ্দেশ্য পূরণ হতে দেয়নি।

ডাকসু নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে ছাত্রলীগ ছাড়া অন্যান্য প্যানেলের পক্ষ থেকে বারবার আপত্তি ও অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। বিষয়টি স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিরাট কর্মযজ্ঞের আয়োজনে ও ব্যবস্থাপনায় অনিচ্ছাকৃত কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে, যা নিখুঁত নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ব্যবস্থাপনার নীতিমালায় কিছু অস্পষ্টতা ও অপর্যাপ্ততা ছিল। ফলে কোথাও কোথাও বিভিন্ন প্রশ্ন, যেমন ভোটারের হাতে অমোচনীয় কালি লাগানো, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার প্রভৃতি উত্থাপিত হয়েছে। এসবের সংস্কৃতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনের ইতিহাসে নেই। ভবিষ্যতে এইসব ত্রুটি দূর করার চেষ্টা থাকবে।

বিজ্ঞপ্তির অবশিষ্ট অংশ পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
তবে ভবিষ্যতের জন্য ভাবনার অনেক সুযোগ করে দিল এবারের অভিজ্ঞতা। স্মরণীয় যে, ভোট গ্রহণ ও ভোট প্রদান প্রক্রিয়ায় উল্লিখিত প্রশ্নসমূহের নেতিবাচক প্রভাবের কথা কেউ বলতে পারেননি। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন, কালক্ষেপণ প্রভৃতি বিষয়ে উত্থাপিত বিভিন্ন মন্তব্যকে হল প্রশাসন বিবেচনায় রেখেছিল। যাতে কোনো কৃত্রিম সংকট তৈরি বা ভোগান্তি না হয় সেজন্য ভোট প্রদানের সময় ও ভোটার সংখ্যা আমলে নিয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক বুথ তৈরি ও ব্যালট পেপার সরবরাহ-টেবিল স্থাপন করা হয়েছিল। কুয়েত মৈত্রী হলের ঘটনার ব্যাখ্যায় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি দুঃখজনক যে, বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলে একটি অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। অবশ্য ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্বেই এটি চিহ্নিত হওয়ায় বড় ধরনের কর্মবিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়। ভোটকেন্দ্রের বুথ সংলগ্ন একটি কক্ষ থেকে ব্যবহৃত (সিল মারা) ব্যালট ভর্তি একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি উপাচার্য মহোদয় অবহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি উক্ত হলের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেন।

হলের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষকে তাৎক্ষণিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে উপাচার্য মহোদয় একজন নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেন। ঘটনার তথ্য অনুসন্ধানের জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। চিফ রিটার্নিং অফিসার নতুন করে সংশ্লিষ্ট হলের ব্যালট পেপার ছাপিয়ে নতুন ঘোষিত সময়ানুসারে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শুরু করেন। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো অস্বচ্ছতা বা শৈথিল্যের প্রশ্ন অবান্তর। রোকেয়া হলে ব্যালট পেপার উদ্ধার করার বিষয়ে বলা হয়, অত্যন্ত বিভ্রান্তিকরভাবে রোকেয়া হলে ব্যালট পেপার উদ্ধারের কথা বলা হয়।

মূলত উক্ত ব্যালট পেপার ব্যালট বাক্সে ছিল না; চিফ রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক প্রেরিত ট্রাংকের মধ্যে সংরক্ষিত ছিল। সেসব ব্যালট পেপারে কোনো সিল মারা ছিল না।

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আয়োজন ও পরিচালনার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত ছিলেন। তাদের কেউ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজের কোনো পর্যায়ে কোনো অনিয়মের বিষয় উথাপন করেননি বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

পাশাপাশি ফলাফল প্রকাশে দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া সুফিয়া কামাল হলের ফলাফল পাওয়া গেছে রাত প্রায় ১২:০০টায়। এরপর ১৮টি হলের প্রাপ্ত ফলাফল সমন্বয় করে ডাকসুর চূড়ান্ত ফল তৈরি করতে সময় লাগে সকাল ০৩:০০টা পর্যন্ত। এরপর সকাল ৩:৩০ মিনিটে ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।

এসব অভিযোগের বাইরে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে যদি ভোটের কোন অনিয়ম, অসততা, কারচুপি, জালিয়াতি প্রভৃতির বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণ কারো কাছে থাকে, তাহলে সেসব সুনির্দিষ্টভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করার আহবান জানানো হয়। বলা হয় যদি এ ধরনের কোনও অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী/প্যানেল থেকে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD