নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
রবিবার, ২৪ মার্চ ২০১৯:
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাংগা এলাকায় সালিশ বৈঠকে স্থানীয় যুবলীগ সভাপতির নেতৃতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আচেন।

শনিবার(২৩ মার্চ) দুপুরে পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের কেন্দুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের সেরাজ উদ্দিনের ছেলে কাজল ঢাকা এবং রহিম উদ্দিনের চেলে শাহ আলম নরসিংদী সদও হাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয়রা ও আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে আলমগীর জানান, জানানো হয়, কেন্দুয়াব এলাকার মামুন ও বাতেন মিয়অর মধ্যেজায়গা জমি নিয়ে একটি বিরোধ ছিল। যা সম্প্রতি সালিশ দরবারে ফয়সা হয়েছে। এই চুড়ান্ত ফয়সালার লক্ষ্যে কেন্দুয়াব মাদ্রাসা মাঠে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: শহিদুল ইসলাম বাদলের সভাপতিত্বে একটি সালিশ বসে। এই খবর জানতে পেয়ে স্থানীয় ডাংগা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু ৩০/৪০টি মোটরসাইকেল নিয়ে সভায় হামলা চালায়। এক পর্যায়ে সালিশের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাদলকে মারধর শুরু করে। এসময় সালিশের অন্যলোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে পাল্টা ধাওয়া করলে দেলোয়ার গুলি শুরু করে। এসময় জনগণ ছত্রভঙ্গ হয়ে পরে। এহামলায় গুলিতে কাজল মিয়া, শাহ আলম ও নাজিম উদ্দিন, ইব্রাহিমসহ ৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
সালিশের সভাপতি ও ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাদল জানান, যুবলীগ সভাপতি দেলু অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সালিশে এসেই আমার ওপর হামলা চালায়। গুলি চালাতে থাকে। আমাদেরকে মারপিটের পর দুটি বাড়ি ও ভাংচুর করে।
এঘটনায় অভিযুক্ত ডাংগা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলুর ব্যক্তিগত মোবাইলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পলাশ থানার অপিসার ইনচার্জ (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লা নরসিংদী প্রতিদিনকে জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। তবে রাত পর্যন্ত কোন কোন পক্ষ মামলা করেনি।