শেখ মানিক | নরসিংদী প্রতিদিন –
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯:
দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মোহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, বর্তমান ছাত্র ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালি এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অতিথিদের ফুল ছিটিয়ে ও নৃত্যের মাধ্যমে বরণ করে নেয় একঝাঁক খুদে নৃত্যশিল্পী। নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের এক দিনের এই মিলনমেলায় সতীর্থদের পেয়ে আবেগে আপ্লূত হয়েছেন, অনেকে হেসেছেন, কেঁদেছেন, উচ্ছাসে মেতেছেন।
২৫ ডিসেম্বর বুধবার উৎসবকে ঘিরে বিদ্যালয় মাঠ বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শতবর্ষপূর্তি উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন নরসিংদী-৩, শিবপুর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূইয়া মোহন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রী আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও শতবর্ষপূর্তি ও মিলন পুনর্মিলনী উদযাপন পরিষদের সভাপতি মো. আমির হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার, শিবপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামাল হায়দার, নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঁইয়া, শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ খান, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ডাঃ এম.এ রউফ সরদার, মোহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও নরসিংদী জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভূইয়া রাখিল,শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এসে ওই সময়কার বন্ধুদের কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে এক অপরকে জড়িয়ে ধরেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। জীবনের শেষ প্রান্তে আদি বিদ্যাপিঠে এসে আনন্দিত ও গর্বিত বোধ করেন তারা। দিন ভর হাসি কান্না ও আর আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শতবর্ষ পুর্তি অনুষ্ঠান।