কুবি প্রতিনিধি | নরসিংদী প্রতিদিন –
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২০:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাতিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের (১৩তম ব্যাচ) মোহাম্মদ রুবেল নামের এক শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থী দ্বারা নিজ বিভাগের সামনেই মারধরের শিকার হয়েছে। বুধবার ঐ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করে ঐ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আহত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রুবেল বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। আহত শিক্ষার্থীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকাল তিনটার দিকে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সামনে বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দীন জিসান গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রুবেলের উপর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চড়াও হয়। এসময় তার সঙ্গে অজ্ঞতানামা আরও দুই থেকে তিনজন মারধর করে। পরবর্তীতে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসায় মোটামুটি সুস্থ হয় রুবেল। পরে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে অচেতন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুল্যান্সে করে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা খারাপ দেখে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে সে ওখানে সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
অভিযোগের বিষয়ে নাসির উদ্দীন জিসান বলেন,‘রুবেল প্রথমে আমার গায়ে হাত তুললে আমি রুবেলকে মারধর করি। এসময় আমার বন্ধুরা ২/১ জন এসেও ওকে (রুবেল) মারধর করে। পরবর্তিতে অন্যরা এসে আমায় ওখান থেকে নিয়ে যায়।’ তার সাথে থাকা অন্যরা যারা মারধর করেছে তাদের বিষয়ে তিনি বলেন,‘মারামারির এক পর্যায়ে আমায় ওখান থেকে টেনে নিয়ে আসাতে কে কে ছিল তাই তাদেরকে আমি চিনতে পারিনি।’
মারধরের শিকার মোহাম্মদ রুবেল বলেন, তাকে কোন কারন ব্যতীতই নাসিরসহ ৩/৪ জন মারধর করে। এক পর্যায়ে সে ফ্লোরে পড়ে গেলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকবৃন্দ তাকে উদ্ধার করে।
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মাদ কামাল উদ্দিন বলেন,‘ভুক্তভুগী শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা নিব।’
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন,‘আমি উপাচার্য মহোদয়কে বিষয়টি জানিয়ে রাখছি। সামনে সমাবর্তন এমন সময় এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। প্রশাসন সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে।’