নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন –
শুক্রবার, ৩১ই জানুয়ারী ২০২০: রাত পোহালেই দুই সিটির নির্বাচন। ঢাকা উত্তরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন আলেয়া সারোয়ার ডেইজি। গত কয়েকদিনের প্রচারণা এবং ক্লিন ইমেজের কারণে অপ্রতিরোধ্য বলা হচ্ছে তাকে।
ঢাকা উত্তর সিটির প্যানেল মেয়র ও ৩১, ৩৩ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১২ এর কাউন্সিলর ডেইজি এবার লড়ছেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে। এদিকে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই তার বিরুদ্ধে। আবার গত পাঁচ বছরে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডসহ উত্তর সিটির নানা উন্নয়নমূলক কাজে রয়েছে তার অংশগ্রহণ। সব মিলিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে এই প্রার্থীর।
প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণায় নামেন এই প্রার্থী। ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, দোয়া এবং ভোট চেয়েছেন তিনি। আর প্রচারণা শেষে জানালেন, ভোটাররা উন্নয়ন চায়। তারা উন্নয়নের দাবিদার। আর এই উন্নয়ন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর থেকেই ভোটাররা প্রত্যাশা করছেন।
তিনি বলেন, ভোটারদের থেকে সর্বোচ্চ প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। তারা ৩১ নম্বর ওয়ার্ডকে দুর্নীতি, মাদক মুক্ত হিসেবে দেখতে চায়। তারা আমাকে ভোট দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি নির্বাচিত হতে পারলে, বিগত সময়ের মতো নিবেদিত হয়েই কাজ করব।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত নূরজাহান রোড, রাজীয়া সুলতানা রোড, শহীদ সলিমুল্লাহ রোড, টাউনহল, আসাদ এভিনিউ, কাজী নজরুল ইসলাম রোড, জাকির হোসেন রোড, টাউনহল উর্দুভাষীদের ক্যাম্প সহ উল্লেখ যোগ্য এলাকা নিয়ে গঠিত ওয়ার্ডটির আয়তন ০ দশমিক ৬২৯ বর্গ কিলোমিটার। ছোট এই ওয়ার্ডে হোল্ডিং সংখ্যা ২ হাজার ৪৫০ টি।
ওয়ার্ডটির মূল সমস্যাগুলো নিয়ে তিনি কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। ডেইজি বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড। তা সত্ত্বেও এখানে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর হিসেবে কাজের অনেক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই চাইলেও আমি অনেক কিছু করতে পারিনি। জনগণ যদি আমাকে ভোট দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত করে তাহলে আমি তাদের সমস্যা সমাধানে অবশ্যই কাজ করব। সেটিই আমার দায়িত্ব।
খেলার মাঠে মেলা বসত। আমি সেগুলোকে উচ্ছেদ করেছি। এখন শিশু কিশোররা মাঠে নির্বিঘ্নে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। কিছু মাঠে মাদকের আড্ডা বসে। আমি সেগুলোকে বন্ধ করব। এক্ষেত্রে মাঠে লাইটের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আছে। যানজট নিরসনে কাজ করতে হবে। দুই বাড়ির মাঝখানে যে পেসেজগুলো রয়েছে তা পরিষ্কার রাখতে শতভাগ কাজ করতে চাই। সারা বছর মশক নিধন কার্যক্রম বহাল থাকবে।
তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, ওয়ার্ডে খেলার মাঠগুলো সংস্কার। সেখানে বসার জায়গা তৈরি করা, মাঠগুলোতে আলাদা হাঁটার জায়গা তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। একটি পার্ক নির্মাণের কাজ আমি এরইমধ্যে হাতে নিয়েছি। আশা করছি, দ্রত সময়ের মধ্যে সেটি বাস্তব করতে পারব।