ধর্ম ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন –
বুধবার-২৯ এপ্রিল ২০২০:
পবিত্র কাবাঘরের অদূরে অবস্থিত ‘মসজিদে জিন। তবে এই মসজিদটি জিনরা অথবা কোন অলৌকিক ভাবে সৃষ্টি হয়নি। এটা মানুষেরই তৈরি। তবে মসজিদকে মসজিদে জিন বলার একটা ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। যে স্থান সম্পর্কে কোরআনেও আলোচনা রয়েছে।
মসজিদে জিন মক্কার একটি বিখ্যাত মসজিদ ও ঐতিহাসিক নিদর্শন। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মক্কা নগরীতে যে স্থানে জিনরা এসে ঈমান এনেছিলো পরে সেখানে একটি মসজিদ গড়ে ওঠে। সেটাই মসজিদে জিন নামে প্রসিদ্ধ।
মসজিদে জিন অন্য বর্ণনায় আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) জিনদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাওয়ার সময় হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) কে একটি বৃত্ত এঁকে এখানে রেখে যান এবং বলে যান আমি না আসা পর্যন্ত এই বৃত্ত থেকে বের হবে না।
মসজিদটি পবিত্র মক্কার পুবে হাজুন পাহাড়ের নিচে অবস্থিত। মসজিদের পাশের রাস্তার নাম জিন মসজিদের সড়ক। এই মসজিদের একটু দূরে মক্কার বিখ্যাত গোরস্থান জান্নাতুল মোয়াল্লা অবস্থিত।
ইতিহাসে আছে, একদিন এখানে মহানবী (সা.) নামাজ আদায়কালে আকাশপথে গমনরত একদল জিন কোরআনের সুমধুর সুরে আকৃষ্ট হয়ে থমকে যান এবং এ ঘটনা তারা তাদের জাতির কাছে গিয়ে ব্যক্ত করে। অত:পর তারা এ মসজিদের স্থানে এসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ঈমান এনে ইসলাম গ্রহণ করে।
এ ঘটনা কোরআনে বলা হয়েছে এভাবে, ‘(হে নবী) বলুন, আমার প্রতি অহি নাজিল করা হয়েছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করেছে, অতঃপর (ফিরে গিয়ে নিজ জাতির লোকদের) বলেছে; আমরা এক বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি। যা সত্য ও সঠিক পথের নির্দেশনা দেয়, তাই আমরা তার ওপর ঈমান এনেছি এবং আমরা আর কখনও আমাদের রবের সঙ্গে কাউকে শরিক করবো না।’ (সূরা জিন: ১-২)