মোঃ আব্দুল কাদির | রায়পুরা প্রতিনিধি
-বৃহস্পতিবার-১১ জুন ২০২০: নরসিংদীর রায়পুরায় পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে (৬) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ৫ জুন উপজেলার রাধানগরে। বৃহস্পতিবার (১১জুন) শিশুটির বাবা জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম বিজয় চন্দ্র রায় (৫০)। তিনি রাধানগর ইউনিয়নের মৃত বিনোদ চন্দ্র রায়ের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক নারী ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,ওই শিশুটি রাধানগর গ্রামের কাঠমিস্ত্রি চন্দন বিশ্বাসের মেয়ে। সে রাধানগর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। গত ৫ জুন শিশুটি তার প্রতিবেশি বিজয়ের বাড়ির আঙিনায় খেলা করছিল। ওই সময় শিশুটিকে লিচুর প্রলোভন দেখিয়ে বিজয় তার ঘরের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণচেষ্টা চালায়। পরে শিশুটি সেখান থেকে সুকৌশলে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরদিন ওই শিশুটি তার মা’কে ঘটনা বিস্তারিত বলেন।
শিশুটির মা রিমা রানী বিশ্বাসের অভিযোগ,রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম তপনের কাছে এ ঘটনার বিচার চাওয়ায় বিজয়ের নিদের্শে ইউপি সদস্য হরিপদ চন্দ্র রায়ের ভাই,ভাতিজা ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য রাজমোহনের ছেলে শিশুটির পরিবারের একাধিক সদস্যকে মারধর করেন।
স্থানীয় কবির,হারিদাশি ও বাসন্তী রানী জানায়,বিজয় এলাকায় একাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছে। সর্বশেষ তার শিকার হন চন্দনের ছয় বছরে কন্যা শিশু। ওই সময় তারা বিজয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম তপন বলেন, শিশুটিকে নিয়ে তার বাবা আমার কাছে এসেছিল। শিশুটির মুখ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনেছি। ওই সময় শিশুর বাবাকে বিচারের আশ্বাস দেয়। আজ সকালে শুনলাম শিশুটির পরিবারের লোকজন মারধরের শিকার হয়েছেন। বিজয়ের পুত্রবধূ জানায়,তার শ্বশুর বাড়ির উঠানে লিচুগাছে একটি খুঁটি পুতেন। এই খুঁটির কারণে বাড়ির ওপর দিয়ে অটোরিক্স নিতে পারে না বলেই তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা ছড়াচ্ছে শিশুটির পরিবার। এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি বলে জানান তিনি।
রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার দেব দুলাল বলেন, এঘটনায় শিশুটির বাবা থানায় মামলা করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।