1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

কুড়িগ্রামে বন্যায় দুর্বিসহ দিন কাটছে বানভাসিদের

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০
  • ১৫৮ পাঠক

নিউজ ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
শুক্রবার,২৪ জুলাই ২০২০:
ক্রমান্বয়ে আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি। প্রায় এক মাস ধরে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার প্রায় ৩ শতাধিক চরাঞ্চলের ৪ লাখ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।

জানা গেছে, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

চলমান করোনা পরিস্থিতির মাঝে দীর্ঘ বন্যায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলের কর্মজীবি মানুষেরা। একদিকে বন্যায় কোন কাজ জোটাতে পারছেন না, অন্যদিকে ঘরের খাবারও শেষ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় চরাঞ্চলের বন্যাদুর্গত মানুষজন সরকারি-বেসরকারি খাদ্য সহায়তার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লেও মিলছে না প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তাও। উভয় সঙ্কটে পড়া এসব মানুষজন নিজ ঘর-বাড়িতে পানির মধ্যেই নৌকা, কলা গাছের ভেলা ও ঘরের মাঁচা, চালের সাথে ঠেকিয়ে খেয়ে-না খেয়ে দিন পাড় করছেন। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে আসা নৌকার ইঞ্জিনের শব্দ শুনলেই মুহুর্তের ত্রাণের আশায় ছুটে আসছেন শত শত বন্যাদুর্গতদের নৌকা।

এদিকে বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট ও দীর্ঘদিন বন্যার পানির মধ্যে বসবাস করায় বানভাসি এসব মানুষজন আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে। দিনে দিনে তীব্র হয়ে উঠছে গো-খাদ্যের সঙ্কট। দুর্ভোগ বেড়েছে উঁচু বাঁধ ও পাকা সড়কে আশ্রয় নেয়া মানুষদেরও। সরকারীভাবে ত্রাণ দেয়া হলেও বন্যাদুর্গতদের ৬০ ভাগের ভাগ্যে জুটছে না তা। চোখে পড়ছে না কোন বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতাও।

কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো: হাবিবুর রহমান জানান, গত ১ মাসে পানিতে ডুবে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ১৬ জন। জেলায় বন্যা কবলিতদের স্বাস্থ্য সেবার ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বতুয়াতুলির চরের মুসা মিয়া বলেন, বন্যা এতো দীর্ঘ হবে সেটা কল্পনাও করতে পারিনি। পানি সামান্য কমার পরও আবারও বৃদ্ধি পায়। কাজকর্ম নেই। ঘরে খাবার নেই। বউ, বাচ্চা নিয়ে খেয়ে না খেয়ে আছি। কোন ত্রাণ পাইনি। ত্রাণ না পেলে আর বাঁচার উপায় থাকবে না।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানান, ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে জেলার ৯ উপজেলার ৪ লাখ ২৮ হাজার ৫২৫ পরিবারকে ১০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল দেয়া হবে। এতে চরাঞ্চলের কোন হতদরিদ্র পরিবার বাদ পড়বে না। এর আগে বন্যার্তদের মাঝে ১৯০ মেট্রিক টন চাল, জিআর ক্যাশ ৯ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD