বিনোদন ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
সোমবার, ০৩ আগস্ট ২০২০:
মিশা সওদাগর। ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রভাবশালী একজন খল অভিনেতা। কিন্তু সব মানুষের উত্থানের একটা সিঁড়ি থাকে। সিঁড়ি ডিঙানোর সেই দিনগুলো খুব সহজ ছিল মিশার সওদাগরের। যখন বিখ্যাত হলেন তখন সামনে এলো খ্যাতির বিড়ম্বনা। কোরবানির পশু কিনতে হাটে গিয়ে তেমনই এক বিড়ম্বনার গল্প শোনালেন এই ঢালিউড ভিলেন।
আগে সবাই মিলে ভাগে কোরবানি দিতাম। একবার ভালো পেমেন্ট পেয়ে নিজেই গরু কোরবানি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। ভাবনা অনুযায়ী গরু কিনতে হাটে গেলাম। গিয়ে আমি নিজেই ‘গরু’ হয়ে গেলাম! সবাই চিনে ফেলেছে। এক পর্যায়ে এতো ভিড় জমে গেলো যে সামলানোই মুশকিল। গরু বিক্রেতাদের সমস্যা হচ্ছে। ক্রেতারাও বিরক্ত হচ্ছিল। ফলে হাটের ইজারাদার আমাকে সরিয়ে নিয়ে গেলো। বললো, আপনি স্টেজে বসে থাকুন। আমরা আপনাকে গরু দেখাচ্ছি। এরপর বাজেট শুনে কয়েকটা গরু আমার সামনে নিয়ে এলো। আমি ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনলাম।
জীবনের প্রথম নিজের টাকায় গরু কোরবানি দিচ্ছি। মনে হচ্ছিলো আমি কিছু একটা অর্জন করেছি। পুরান ঢাকার একজন ভালো কসাই ঠিক করলাম। কিন্তু তার খুব চাহিদা। বললো, আমার বাসায় আসতে তার দুপুর গড়িয়ে যাবে। আমি তাতেই রাজি। গরু বাসার নিচে বেঁধে রেখে অপেক্ষায় বসে আছি। সেখানে বিল্ডিংয়ের অন্যদেরও কয়েকটা গরু বাঁধা।
সবাই সকাল থেকে কোরবানি দিচ্ছিলেন। কিন্তু কসাই আসার পর আমার গরু আর খুঁজে পেলাম না। মন খুব খারাপ হয়ে গেলো। জীবনের প্রথম কোরবানি। আর গরুটাই হারিয়ে গেলো! এদিক-ওদিক খুঁজি কোথাও নেই। বাসার নিচে তখনও একটি গরু বাঁধা ছিল। গরুটা বেশ বড়।
এদিকে বিল্ডিংয়ের সবাই জেনে গেছে আমার গরু হারিয়ে গেছে। সবাই বাসার নিচে জড়ো হলো। যেহেতু সবার কোরবানি দেয়া হয়ে গেছে, ফলে তারা বললো, এই গরুটাই আমার। কিন্তু আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম, এমন গরু আমি কিনিনি। তাদের বুঝিয়ে বললাম। কিন্তু সবাই বলল, যেহেতু সবার কোরবানি দেয়া হয়ে গেছে সুতরাং ধরে নিন এটাই আপনার গরু। হুজুরও বলল, অসুবিধা নেই।
আল্লাহর নাম নিয়ে গরু কোরবানি দিলাম। সত্যি কথা বলতে, গরু কাটা দেখলে আমার ভয় লাগে! তারপরও কোরবানি তো দিতেই হবে। গরু কাটার পর অনেক মাংস হলো। পরে প্রতিবেশী একজন বলল, তাদের গরুর মাংস কম হয়েছে। তারাই ভুল করে আমার গরু কোরবানি দিয়ে ফেলেছে।