1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৯ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

চারনেতার আদর্শের খুনী

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭
  • ২৮৮ পাঠক

সিরাজী এম আর মোস্তাক
শিক্ষানবিস আইনজীবি, ঢাকা।

৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এ তারিখে জেল প্রকোষ্ঠে জাতীয় চারনেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আজও তার বিচার হয়নি। এ বিচার হতো, যদি তাদের আদর্শ থাকতো। তাদের মহান আদর্শের লেশমাত্র বাংলাদেশে নেই। তাই তাদের খুনী এবং তাদের আদর্শের খুনী উভয় চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন জাতীয় চারনেতা। তারা দেশ স্বাধীন করেছেন এবং বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্ত করেছেন। তারা দেশের সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালিকে সুসংগঠিত করেছেন এবং প্রাণপণ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর তারা বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে দেশ গড়তে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করেছেন। তারা নিজেদের স্বার্থ জলাঞ্জলী দিয়ে ৬৭৬ বীরযোদ্ধাকে খেতাব প্রদান করতে বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের পরামর্শেই বঙ্গবন্ধু ৩০লাখ শহীদের সংখ্যা সুনির্দিষ্ট করেছেন। দেশের আপামর বাঙ্গালিকে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করেছেন। বঙ্গবন্ধু ও চারনেতা নিজেরা নিঃসঙ্কোচে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়েছেন। এভাবে তারা পৃথিবীতে স্বাধীন বাঙ্গালি জাতিসত্ত্বার জন্ম দিয়েছেন। তারা ৭জন শহীদকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দিয়ে দেখিয়েছেন যে, দেশের সাড়ে সাত কোটি বীরবাঙ্গালির চেয়ে ৩০ লাখ শহীদ অধিক মর্যাদাবান। তাই তাদের সময়ে দেশে মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা বিভাজন ছিলনা। ২লাখ তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার অস্তিত্ব ছিলনা। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিলনা। তখন দেশের প্রতিটি বাঙ্গালি বীরমুক্তিযোদ্ধা বিবেচিত ছিল। বঙ্গবন্ধু ও চারনেতা হত্যার পর এ আদর্শ হারিয়ে গেছে।
এখন ৩০লাখ শহীদের বংশ-পরিবারের অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই। বরং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাক হানাদারদের পরিবর্তে বঙ্গবন্ধু ও চারনেতার গড়া বাঙ্গালি জাতিই ঘাতক, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে আন্তর্জাতিক শব্দটি থাকায় বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত হয়েছে যে, ১৯৭১ সালে সংঘটিত সকল অপরাধ বাঙ্গালিরাই করেছে, পাকিস্তানিরা করেনি। পাকিস্তানীদেরকে যুদ্ধাপরাধী বললে এখন তা আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল অবমাননার শামিল।
এখন জেলহত্যা দিবসে যারা বড় বড় বুলি আওড়ান, তারাই ২লাখ তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ও কোটাসুবিধা দেন। তারাই আবার পাক হানাদার বাহিনীর পরিবর্তে বাঙ্গালিদেরকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচার দাবি করেন। স্বার্থের বশে বঙ্গবন্ধু ও চারনেতার মহান আদর্শ অমান্য করেন। এমতাবস্থায় চারনেতার খুনী ও তাদের আদর্শের খুনী পার্থক্য করা দুঃসাধ্য। শুধু বলা যায়, ভূতের মুখে রাম নাম।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD