লক্ষণ বর্মন,নরসিংদী প্রতিদিন: মাধবদী এস.পি ইনস্টিটিউশনের শিক্ষিকা নাসিমা বেগমের সাথে মাধবদী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মাধবদী শহর যুবদল নেতা শেখ ফরিদ কমিশনারের কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর ওবায়দুর রহমান টিটু নামে জনৈক ব্যক্তির ফেসবুক ওয়ালে শেখ ফরিদ কমিশনারের সাবেক স্ত্রী দাবীকৃত জান্নাতুল ফেরদৌস জানু নামে স্বাক্ষরিত এক আবেদন পত্র পোস্টের মাধ্যমে ঘটনাটি সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
মাধবদী এসপি ইনস্টিটিউশনের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আ: মতিন ভুঁইয়া বরাবর লিখিত ওই আবেদন পত্রে শেখ ফরিদ কমিশনারের সাথে অবৈধ সম্পর্কের কারনে নিজের ১৫ বছরের সুখের সংসার ভাঙ্গার দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা নাসিমা বেগমের বহিস্কার দাবী করেন জান্নাতুল ফেরদৌস জানু। তিনি আরো বলেন ১৫ বছর পূর্বে শেখ ফরিদ কমিশনারের সাথে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবনে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। শেখ ফরিদ কমিশনার মাধবদী এসপি ইনস্টিটিউশনের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে স্কুলে আসা যাওয়ার সুবাদে ওই স্কুলের শিক্ষিকা নাসিমার সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্কুলে এই জুটির আপত্তিকর বিভিন্ন কথাবার্তা ও আচরণে বিব্রত ওই স্কুলে পড়–য়া তাদের নিজ মেয়ের নালিশের প্রেক্ষিতে স্বামী শেখ ফরিদ কমিশনারকে অনুসরণ করে ওই শিক্ষিকার ফ্ল্যাট থেকে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় কয়েকবার হাতেনাতে আটক করেন বলে তিনি জানান।
এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন চলা মন মালিন্যের এক পর্যায়ে তিনি বাবার বাড়ি চলে গেলে তাকে তালাক দিয়ে ওই শিক্ষিকার সাথে কমিশনার অবৈধ সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। অবশেষে ফেসবুক ওয়াল থেকে গতকাল পোস্টটি সরিয়ে নেন গত পৌরসভা নির্বাচনে শেখ ফরিদ কমিশনারের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আলহাজ্ব ওবায়দুর রহমান টিটু।
প্রসঙ্গত, প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পর শেখ ফরিদ কমিশনার মাধবদী পৌরসভার এক বিধবা নারী কর্মচারীকে কয়েকমাস পূর্বে বিয়ে করেন। কিন্তু তার চরিত্রগত দোষের কারনে সম্প্রতি সে স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যায়।
শেখ ফরিদ কমিশনার সাথে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা বিষয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের এড়িয়ে যান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন একটি মহল আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য ফেসবুকে এসব ছড়াচ্ছেন।