নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন, মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ ২০১৮:
যশোরের মেয়ে সানজিদা হক বিপাশা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’র প্রোগ্রাম অফিসার, তার স্বামী একসময় ছিলেন সাংবাদিকতা পেশায়। তাদের ছোট্ট সংসারটিতে সারাক্ষণ আলো ছড়িয়ে থাকা একমাত্র সন্তানের নাম অনিরুদ্ধ।
অথচ একটি দুর্ঘটনা মৃত্যুর কালোছানি কেড়ে নিলো মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে থাকা বাবা-মা ও তাদের একমাত্র সন্তানের জীবন।
সোমবার নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণকালে যান্ত্রিক ত্রুটিগত কারণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত বিমানটির আরোহী ছিলেন যশোরের এই পরিবারটি। এখন আরও অনেকের মতোই লাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে তাদের।
যশোরের এই পরিবারটির তিন সদস্য হলেন, যশোরের মেয়ে সানজিদা হক বিপাশা, স্বামী রফিক জামান ও একমাত্র সন্তান অনিরুদ্ধ।
দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশীদের তালিকা প্রকাশ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে লিখেন, ‘সবুজ কালিতে নাম লিখা ব্যক্তিরা আহত, আমাদের এ্যাম্বাসী কর্মকর্তারা দেখা করেছেন। বাকীরা জীবিত নেই।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুক পেজে বাংলাদেশী যাত্রীদের তালিকা দিয়েছেন। তালিকায় সবুজ কালিতে লেখা নামগুলোর মধ্যে নেই সানজিদা-রফিক-অনিরুদ্ধের নাম।
উল্লেখ্য, ১২ মার্চ সোমবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি নেপালের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। নেপালে পৌঁছানোর পর স্থানীয় সময় ২টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ৫ মিনিট) ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে ৪ ক্রু সহ ৭১ আরোহী নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৫০ জন নিহত হন। যার মধ্যে ২৫ বাংলাদেশী রয়েছেন। অপর নিহতদের মধ্যে ৩৩ জন নেপালি এবং মালদ্বীপ ও চীনের একজন করে নাগরিক ছিলেন। আহত ২২ জনের মধ্যে বাংলাদেশী ৯ জন।